(১)

সু ম ন ধা রা শ র্মা
যোগ্যতা অর্জনের পর
পাপোশের একপ্রান্তে যত চুম্বন পড়েছিল,
সেসব সরালেই এক অর্ধনমিত মাথা দুঃখে নামিয়ে রাখে পতাকা
বিচ্ছুরণ-কেন্দ্রিক জীববিদ্যা থেকে সংস্কৃতির মোড়কে
শুয়ে থাকতে ভালো লাগে
অমাবস্যা থেকে অদৃশ্য বাষ্প এসে ঝাপসা করে চোখ,
যা খালি গায়ে দাঁড় করাচ্ছে বৃষ্টিপাতের ছদ্মবেশে
সাদা কাগজের সম্ভাবনা থেকে
রঙিন বেলুনের সৃষ্টি পর্যন্ত
যে রঙটা পছন্দের তালিকাভূক্ত,
পাওয়া যাচ্ছে না কোনো দোকানেই
আবছায়া, তুমি গোধূলি বা রাত্তির যাই হও
এইসব লেখা শীর্ষদেশ ছোঁয় না
কিছুকাল বৃষ্টি হলো , কিছুকাল জ্বর,
বরফের পাশাপাশি পড়ে থাকা এক আংটা কয়লার আগুন,
যার মধ্যে বিন্দুমাত্র ইচ্ছে ছিল না বা তৃষ্ণা -
তাও কিছু বরফ তো গলেই যাচ্ছে ।
[সুমন ধারা শর্মা জন্ম ও শিক্ষা কলকাতায়, কবিতার সঙ্গে সম্পর্ক পাতিয়েছেন বছ পাঁচেক । ডিসেম্বর ২০০৮এ তাঁর প্রথম কবিতা ‘ধূম’ প্রকাশিত হয় ‘ভাষা বন্ধন’ পত্রিকায় । দর্শনের স্নাতক, মধ্য চল্লিশের সুমন সুমন ধারা শর্মার দুটি কাব্য গ্রন্থ – ‘শীততাপ নিয়ন্ত্রিত’ ও ‘প্রবেশ নিষেধ’ প্রকাশিত হয়েছে ২০১০ ও ২০১১’র বইমেলায় । ‘কৌরব’ 'এবং বিকল্প’, ‘কবিতা পাক্ষিক,’ভাষা বন্ধন' সহ নানান পত্রিকায় সুমনের কবিতা প্রকাশিত হয়েছে ।]
(২) স্বপ্ন ফেরি
ঝ র্ণা চ ট্টো পা ধ্যা য়
দুচোখের পাতায় লেখা আছ কথা
ঝ র্ণা চ ট্টো পা ধ্যা য়
দুচোখের পাতায় লেখা আছ কথা
ঘুমের কলম দিয়ে লিখবো তাকে ।
কিন্তু ঘুম আসেনা চোখে
স্বপ্নওলা ডাক দিয়ে যায় হেঁকে
‘কে, কে নেবে স্বপ্ন, কে আছো জেগে ?’
তাড়াতাড়ি উঠে হাত পাতি তার কাছে
মুঠো মুঠো স্বপ্ন দেয় ভ’রে
নির্ভেজাল স্বপ্ন আমার চোখে, মুখে
তাদের নিয়ে খেলা করবো বলে
দু চোখ বন্ধ করি
কিন্তু ঘুম আসেনা চোখে
স্বপ্নওলা ডাক দিয়ে যায় হেঁকে
‘কে, কে নেবে স্বপ্ন, কে আছো জেগে ?’
তাড়াতাড়ি উঠে হাত পাতি তার কাছে
মুঠো মুঠো স্বপ্ন দেয় ভ’রে
নির্ভেজাল স্বপ্ন আমার চোখে, মুখে
তাদের নিয়ে খেলা করবো বলে
দু চোখ বন্ধ করি
স্বপ্নের ঘুঁটি গুলো সাজাতে বসি প্রথম থেকে ….
মেলাতে পারিনা
কি এক ভয় এসে চেপে ধরে বুকে
কবে যেন দুঃখ মিশিয়েছি তাতে,
কবে যেন অ-প্রেম বিলিয়েছি রাতে ।
স্বপ্নরা করেনা ক্ষমা
তাই দুহাত উপুড় করে বসে আছি
স্বপ্নের ফেরিওলা তখনও যায় হেঁকে,
‘কই, কে নেবে স্বপ্ন, কে আছ জেগে
লাল নীল স্বপ্ন, বলো কে নেবে ?’
চোখের পাতায় নেমে আসে ঘুম
মেলাতে পারিনা
কি এক ভয় এসে চেপে ধরে বুকে
কবে যেন দুঃখ মিশিয়েছি তাতে,
কবে যেন অ-প্রেম বিলিয়েছি রাতে ।
স্বপ্নরা করেনা ক্ষমা
তাই দুহাত উপুড় করে বসে আছি
স্বপ্নের ফেরিওলা তখনও যায় হেঁকে,
‘কই, কে নেবে স্বপ্ন, কে আছ জেগে
লাল নীল স্বপ্ন, বলো কে নেবে ?’
চোখের পাতায় নেমে আসে ঘুম
মুঠো খুলে স্বপ্নরা হাওয়ায় ভাসে......
[ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায় - থাকেন বর্ধমানে, স্বামী বর্ধমান রাজ কলেজের জীব-বিদ্যা বিভাগের প্রধান । কবিতা লিখতে পারলে খুশি হন কিন্তু লেখেন কম কারণ তাঁর চলাচল বেশি গদ্যতে । পড়াশোনার কাজে বিদেশে ছিলেন কয়েক বছর, সেখানে চাকুরিও করেছেন, এখন সব ছেড়ে পড়াশোনা ও লেখার কাজে ব্যস্ত । ঝর্ণার গবেষণার বিষয় ‘আদিবাসীদের রামায়ন কথা’ এবং ‘মহিলা বাউল ফকির’ । এই বিষয়ে তাঁর কয়েকটি লেখা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে , এছাড়া সুধীর চক্রবর্তী সম্পাদিত ‘বাংলার বাউল ফকির’ গ্রন্থে শ্রীমতী চট্রটোপাধ্যায়ের ‘অথ বাউলানী কথা’ সঙ্কলিত হয়েছে । এক পুত্র সন্তানের জননী, ঝর্ণার একটি গবেষণা গ্রন্থ এবারের বইমেলাতে প্রকাশিত হওয়ার কথা ।]
সব হারিয়ে নতুন করে বাঁচতে গিয়ে পেয়েছি অ-সুখ,
হাওয়ার সাথে ছুটতে গিয়ে হারিয়েছি আমার গতি,
আর আলো চেয়ে- চেয়ে স্বপ্ন দেখেছি একফালি চাঁদের,
তাও ভালোবেসেছি ।
অনেক রাস্তা হেঁটেও লক্ষ্য খুঁজে পাই নি
দিশাহীন ধূসর বিকালে পথ হারিয়েছি বারবার,
বিশ্বাস করে সব হারিয়ে নিজেকে ঠকিয়েছি
চেনালোকের ভীড়েও চিরকাল রয়েছি একেলা,
তবু ভালোবেসেছি ।
মনকে সাক্ষী রেখে ঘুরেছি না পাওয়ার দেশের দরজায়-দরজায়
লাজুক কলি থেকে ফুটে উঠেছি বিষাক্ত ফুল হয়ে,
কাঁটা দিয়ে আবৃত করেছি আমার অহংবোধ,
দর্পিত স্পর্ধায় সমাজের চোখে চোখ রেখেছি
ভালো ও তো বেসেছি ।
দিনে-রাতে, বেলা-অবেলায় শরীরের ডাকে নিজেকে ভুলেছি,
শিরা উপশিরা মেতে উঠেছে সৃষ্টিসুখের খেলায়
নতুন জীবনকে আবাহন করেছি স্বর্গসুখে,
সময়ের বাঁকে হারিয়ে যেতে-যেতেও রেখে যাচ্ছি নিজের প্রতিলিপি
এই তো ভালোবাসা ।
(৪)
তোমাকে খুঁজেছিলাম
সংগ্রাম ঢ্যাং
(৪)
তোমাকে খুঁজেছিলাম
সংগ্রাম ঢ্যাং
শেষ রাত্রির নীরবতা পেরিয়ে,
তোমাকে খুঁজেছিলাম আমি ,
পাইনি ........।
পাহাড়ের তলদেশে সূর্যাস্তের মুহূর্তে,
স্মৃতির সরণি বেয়ে
তোমাকে খুঁজেছিলাম আমি;
পাইনি...।
তুমি ছিলে ধূ-ধূ মরুর মাঝে
এক টুকরো মিষ্টি মরীচিকা
কিংবা জলে আঁকা ক্যানভাসে
একফোঁটা বিষণ্ণতার রঙের মতো;
অথবা অঝোর বৃষ্টির মাঝে
কচুপাতায় জমে থাকা
একবিন্দু জলের মতো
তোমাকে ধরে রাখতেও পারিনি.........।
[সংগ্রাম ঢ্যাং – হাওড়ার বাসিন্দা,কবিতার জগতে নতুন অতিথি । কবিতা পড়া আর কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকেই লেখার প্রেরণা সবে কুড়ি বছরে পা দেওয়া সংগ্রামের ।]
[সংগ্রাম ঢ্যাং – হাওড়ার বাসিন্দা,কবিতার জগতে নতুন অতিথি । কবিতা পড়া আর কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকেই লেখার প্রেরণা সবে কুড়ি বছরে পা দেওয়া সংগ্রামের ।]