আলোয় ফেরা
সু মি ত র ঞ্জ ন দা শ
আমিতো কেবল শব্দ ওড়াই
ভুলে থাকি সোনার সকাল
ঋতুমতী সেই শব্দের টানে
পেরিয়ে যাই শ্রাবণ আকাল,
এখন কেবল ছায়ারা ডাকে
ওড়না ঢাকা গোপন খাঁজে,
বলে - জাগালে না, জাগালে না
_____তুমি মোরে সংঘমিত্রা ধ্যানে ?
জোৎস্না নামে অভিসারে
চুরি হয়ে যায় পাহাড়ের ঘ্রাণ
নগ্ন আকাশের বুকে পড়ে থাকি
কত শত আলোক বছর ধরে,
অন্ধকারে ডেকে ফিরি
পার করি যত রোদের বেলা
পান পাত্র হাতে বলে উঠি -
আয় পাখি আয়, ঘর বাঁধি তোর সাথে
__ভালোবাসায় সংগোপনে ।
ভুলে থাকি সোনার সকাল
ঋতুমতী সেই শব্দের টানে
পেরিয়ে যাই শ্রাবণ আকাল,
এখন কেবল ছায়ারা ডাকে
ওড়না ঢাকা গোপন খাঁজে,
বলে - জাগালে না, জাগালে না
_____তুমি মোরে সংঘমিত্রা ধ্যানে ?
জোৎস্না নামে অভিসারে
চুরি হয়ে যায় পাহাড়ের ঘ্রাণ
নগ্ন আকাশের বুকে পড়ে থাকি
কত শত আলোক বছর ধরে,
অন্ধকারে ডেকে ফিরি
পার করি যত রোদের বেলা
পান পাত্র হাতে বলে উঠি -
আয় পাখি আয়, ঘর বাঁধি তোর সাথে
__ভালোবাসায় সংগোপনে ।
আমি আত্মহত্যা করব না
ক চি রে জা
আমি আত্মহত্যা করব
না উত্তরাধুনিক কোনো পদ্ধতি মেনে,
সারাদিন যে গাছের ছায়া কুড়িয়ে কুড়িয়ে জমা করি, সে গাছের মাঝারি উচ্চতার
ডাল বেছে নিয়ে প্রচলিত কোনো দড়িতেও ঝুলব না,
আমি মরে প্রমান করব কিভাবে মরতে হয়
তোমাকে ভালোবাসব তবে দেহের অনুকুলে আমার কোনো সমঝোতা নেই
মনে পড়ে, সংঘের সংহতি আমি ঠিক সেই পদ্ধতি মেনে সমর্পিত হব
অনাকর্ষনীয় থাকব আর গৃহিণী অথবা বেশ্যা—দূটোর কোনোটাই মেনে নেব না
বাধ্য নই, তবু চাই গন্ধকমিশ্রিত একটি শিশু, তার গা চাটতে চাই,
চাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচাতে,
উত্তরাধুনিক পদ্ধতিতে সুইসাইড করব কি না, সেও আমি কাঁঠাল গাছের কাছেই শিখে নেব
যার আয়োজন অথবা আয়োজনহীনতায় ‘চায়ের বাক্সের ভেতরে কিংবা মশলা ঘরে’,
’একটা ম্যান সাইজ আরশি, একটা হিট রেডিএশন গান, আইসব্লু দেয়ালের ঘর, শাদা ছাদ, ফ্যান,
ট্রে তে অমোঘ আপেল, প্যাড, ইকোনো এবং তালা চাবি...।‘’
আত্মাকে বোঝানোর চেষ্টা করব, স্বেচ্ছামৃত্যু কোনো উদভ্রান্ত ধারালো ব্লেড নয়, ক্লান্ত ট্রামের চাকা নয়,
কবিতার অপর শব্দের সুড়ংগ যেখানে সুটকেস খুলতে খুলতে শামীম কবীর পেয়ে গিয়েছিল
সারাদিন যে গাছের ছায়া কুড়িয়ে কুড়িয়ে জমা করি, সে গাছের মাঝারি উচ্চতার
ডাল বেছে নিয়ে প্রচলিত কোনো দড়িতেও ঝুলব না,
আমি মরে প্রমান করব কিভাবে মরতে হয়
তোমাকে ভালোবাসব তবে দেহের অনুকুলে আমার কোনো সমঝোতা নেই
মনে পড়ে, সংঘের সংহতি আমি ঠিক সেই পদ্ধতি মেনে সমর্পিত হব
অনাকর্ষনীয় থাকব আর গৃহিণী অথবা বেশ্যা—দূটোর কোনোটাই মেনে নেব না
বাধ্য নই, তবু চাই গন্ধকমিশ্রিত একটি শিশু, তার গা চাটতে চাই,
চাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচাতে,
উত্তরাধুনিক পদ্ধতিতে সুইসাইড করব কি না, সেও আমি কাঁঠাল গাছের কাছেই শিখে নেব
যার আয়োজন অথবা আয়োজনহীনতায় ‘চায়ের বাক্সের ভেতরে কিংবা মশলা ঘরে’,
’একটা ম্যান সাইজ আরশি, একটা হিট রেডিএশন গান, আইসব্লু দেয়ালের ঘর, শাদা ছাদ, ফ্যান,
ট্রে তে অমোঘ আপেল, প্যাড, ইকোনো এবং তালা চাবি...।‘’
আত্মাকে বোঝানোর চেষ্টা করব, স্বেচ্ছামৃত্যু কোনো উদভ্রান্ত ধারালো ব্লেড নয়, ক্লান্ত ট্রামের চাকা নয়,
কবিতার অপর শব্দের সুড়ংগ যেখানে সুটকেস খুলতে খুলতে শামীম কবীর পেয়ে গিয়েছিল
সন্ধ্যার ফাঁকা
বাড়ি,ফ্যান,টুল আর নিজের সাদা চাদর।
অনুরঞ্জন
লা ব ণ্য কা ন্তা
লা ব ণ্য কা ন্তা
কতদিন
চাঁদের জোছনা থেকেও দূরে থেকেছি,
প্রতিদিনের চাঁদ হাতছানি দিয়েছে ;
অনুক্ষন কোয়াক পাখিদের বিরহ সঙ্গীত
শোনতেই ব্যস্ত থেকে গেছি ...অথবা
অপরিজিতার সাথেই কথা বলেছি।
কিন্তু আজ নিজেকে অনুরোধ করেছি,
কোয়াকের বিরহ সঙ্গীত থেকে
সরে যেতে । অপরাজিতাকে
বলেছি মুকুরেই ক্লান্তি মুছে
ফেলো ... আজ ডেকোনা
আমায় আসন্ন বেলায়।
বৈশাখী অলস হাওয়া আজ ডেকোনা আমায়,
মোহণীয়া দুপুরে আজ গদ্যকেও বলেছি
একটু ছুটি দাও কিছু
কথামালা লিখবো প্রিয় অশ্বথের ছায়ায় ;
প্রিয়তম তুমি কোথায় ?
প্রতিদিনের চাঁদ হাতছানি দিয়েছে ;
অনুক্ষন কোয়াক পাখিদের বিরহ সঙ্গীত
শোনতেই ব্যস্ত থেকে গেছি ...অথবা
অপরিজিতার সাথেই কথা বলেছি।
কিন্তু আজ নিজেকে অনুরোধ করেছি,
কোয়াকের বিরহ সঙ্গীত থেকে
সরে যেতে । অপরাজিতাকে
বলেছি মুকুরেই ক্লান্তি মুছে
ফেলো ... আজ ডেকোনা
আমায় আসন্ন বেলায়।
বৈশাখী অলস হাওয়া আজ ডেকোনা আমায়,
মোহণীয়া দুপুরে আজ গদ্যকেও বলেছি
একটু ছুটি দাও কিছু
কথামালা লিখবো প্রিয় অশ্বথের ছায়ায় ;
প্রিয়তম তুমি কোথায় ?
ঝলমল
সন্ধ্যায় যখন কোয়াক পাখিরা
ফিরে যাবে নীড়ে, অপরাজিতা মুকুরেই
থেকে যাবে একা …… তখন তিথির
আকাশ জুড়ে দেখা দেবে পূর্ণিমা চাঁদ ;
একাকি দাঁড়াবো উনুভূবিন্দুর সাথে
রুপালি জোছনায় ঝরা কৃষ্ণচূড়ায়
রাঙাবো মন। তোমাকেই,
আজ শুধু তোমাকেই
খুঁজবো অনুরাগের
রক্তিম অনুরণনে।
প্রিয়তম, তুমি কোথায় ?
ফিরে যাবে নীড়ে, অপরাজিতা মুকুরেই
থেকে যাবে একা …… তখন তিথির
আকাশ জুড়ে দেখা দেবে পূর্ণিমা চাঁদ ;
একাকি দাঁড়াবো উনুভূবিন্দুর সাথে
রুপালি জোছনায় ঝরা কৃষ্ণচূড়ায়
রাঙাবো মন। তোমাকেই,
আজ শুধু তোমাকেই
খুঁজবো অনুরাগের
রক্তিম অনুরণনে।
প্রিয়তম, তুমি কোথায় ?
বিষাদ
স প্তা শ্ব ভৌ মি ক
বিষাদ জমে জমে
নিথর প্রতিমা
নীরব রাতের কালো
গিলে খাবে প্রতিমার
বিবশ শরীর
জোনাকির জাল বুনে বুনে
বোকা কবি
এনে দেবে প্রাণ
এখনো বোঝেনি ও
ভালোবাসা বিষাদের
ভিন্ন এক নাম
নিথর প্রতিমা
নীরব রাতের কালো
গিলে খাবে প্রতিমার
বিবশ শরীর
জোনাকির জাল বুনে বুনে
বোকা কবি
এনে দেবে প্রাণ
এখনো বোঝেনি ও
ভালোবাসা বিষাদের
ভিন্ন এক নাম
সংকেত
শি ব লী শা হে দ
আমায়
তিনটি সংকেত দেখাও
আমি বুঝবো তুমি নির্দোষ ;
চোখের পাপড়ি খুলে
পড়বো অন্তর্দহন
জেনে নেবো কোন দোলাচলে
জীবন কাঁপে তোমার
জলের মতো থেমে থেমে ।
আমায় তিনটি সংকেত দাও
আমি তোমায় বলে দেবো
মৃত্যু তোমার কেমন দোসর
কোন সুযোগে
সে আড়ি পেতে
জলটুকু ফেলে দেবে ।
বাইরে তখন পাতাদের গাঢ়ঘুম !
আমি বুঝবো তুমি নির্দোষ ;
চোখের পাপড়ি খুলে
পড়বো অন্তর্দহন
জেনে নেবো কোন দোলাচলে
জীবন কাঁপে তোমার
জলের মতো থেমে থেমে ।
আমায় তিনটি সংকেত দাও
আমি তোমায় বলে দেবো
মৃত্যু তোমার কেমন দোসর
কোন সুযোগে
সে আড়ি পেতে
জলটুকু ফেলে দেবে ।
বাইরে তখন পাতাদের গাঢ়ঘুম !
অতএব কৌন্তেয় নিপাতে গেলে
রা জ র্ষি ঘো ষ
অবশেষে কৌন্তেয় নিপাতে
গেলে উলুধ্বনি করে উঠল যক্ষেরা ।
ব্যাঙেরা বিউগল বাজালো; রাজামশাই
মুখ চুম্বনে আলোকিত করলেন ভার্যার সুগন্ধী দেহ ।
দু এক খানি প্যাঁচা
ডানা মেলল ধানসিঁড়ি তীরে ;
আকাশের এক কোণে ঘর ছাড়ল
একটি ব্যতিক্রমী তারা ।
ক্লান্ত মধুকবি গেলেন
অস্তাচলে, বিদ্যাসাগর সাঁতরে পাড় হলেন এক বুক উথাল দামোদর ।
আর তারপর...
তারপর , নারকেল
গাছের মাথা ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে বৃষ্টি এল আমার এ বারান্দায় ।
বৃষ্টি এল মহাকরণের
জানলায়, ফাইলবন্দী রাইটার্সের গোপন অলিন্দে ।
যদিও, ছাদে
কাকভেজা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন এ সবই চক্রান্ত বিরোধী শিবিরের ।
ঘন ঘন দাঁড়ি নাড়াল বাম, বিরোধী, শরিক দল; কলকাতা
হাঁটল মৌন মিছিলে।
অবশেষে কৌন্তেয় নিপাতে
গেলে
কেউ হাসল, কেউ কাঁদল, কেউ করতালি
দিল খুব জোরে ।
অবশেষে কৌন্তেয় নিপাতে
গেলে লাশকাটা ঘরে চলল পুলিশি উৎসব ।
একে একে ছিন্ন হল
দেহকান্ড, মাথা; বুলেটক্ষত থেকে নিঃসৃত হল হলাহল;
উলুখাগড়ার বনে মুক্তো
কুড়োতে গিয়ে সেদিন প্রাণ দিল প্রবীণ ক্রৌঞ্চ।
যমুনার তীরে শীর্ণ
ব্যাসদেব শিউরে উঠে দেখলেন
কে যেন কপিরাইট চুরি
করে নিল রবীন্দ্রসাহিত্যের।
আর তারপর...
তারপর একগুচ্ছ সোঁদা
অভিমানে কাঁদল জননী ।
আয় ফিরে আয় বাছা এই
বুকে তবে,
জারজ সন্তান হয়ে কড়া
নেড়ে আয় মৃতবৎসা ইছামতী ধারে...
আয় চোখ ভরে দেখি কত
অভিমান জমে আছে দেহে ।
আয় তবে এই বুকে, গেহে; কাছে আয় ।
আয় ভরা বর্ষা দুপুরে, আয় কাছে
নবান্ন উৎসবে। আয় দুটো ভাত মেখে দিই...
অতএব কৌন্তেয় নিপাতে
গেলে নিষ্ফলা কাঁদল বিধবা ।
নিশিযাপন
স্মৃ তি মু খা র্জী
এক গলা লাল জলে সন্ধ্যেটা ডুবে গেল।
এস্রাজে সুর ছিল ধ্রুপদী গায়ক
ঝাড়বাতি ভেঙ্গে দিল মালকোষ
মিনারের গায়ে গায়ে নোনা স্রোত ,
মতিহারি কন্যার জল ছিল স্বচ্ছ ধূসর।
ঢেউ ওঠে উত্তাল টলটল
আকাশের মুখগুলো অন্ধ
রাশি রাশি তুল ওড়ে আকাশে,
মতিহারি কন্যার লাল ঠোঁট
স্বচ্ছতা ফিকে হয় সন্ধ্যার আঘাতে।
পারাবত ব্যাস্ত, গোটায় ছেঁড়া পালক
কিন্তু
বার বার বার বার বার বার আবার----------
বাদুড়ের উল্লাস।
মন্দিরে ঘণ্টা্ ,রুমঝুম, টুংটাং
হাত ডাকে পা ডাকে
অন্ধ চাঁদ যায় আসে আকাশে।
মতিহারি কন্যার ঘোলা জল খোলা চূল
চুলে গিঁট সহস্র শতকের
তাম্বুর দাঁত ঘষে নাভিতে।
এক বুক লাল জলে মারা গেল রাত্রি
মালকোষ থেমে গেল ক্লান্ত
ঘুম নামে মতিহারি কন্যার চক্ষে,
এক ঝাঁক শকুন ছিঁড়ে পড়ে সারসির বক্ষে।। "
এক গলা লাল জলে সন্ধ্যেটা ডুবে গেল।
এস্রাজে সুর ছিল ধ্রুপদী গায়ক
ঝাড়বাতি ভেঙ্গে দিল মালকোষ
মিনারের গায়ে গায়ে নোনা স্রোত ,
মতিহারি কন্যার জল ছিল স্বচ্ছ ধূসর।
ঢেউ ওঠে উত্তাল টলটল
আকাশের মুখগুলো অন্ধ
রাশি রাশি তুল ওড়ে আকাশে,
মতিহারি কন্যার লাল ঠোঁট
স্বচ্ছতা ফিকে হয় সন্ধ্যার আঘাতে।
পারাবত ব্যাস্ত, গোটায় ছেঁড়া পালক
কিন্তু
বার বার বার বার বার বার আবার----------
বাদুড়ের উল্লাস।
মন্দিরে ঘণ্টা্ ,রুমঝুম, টুংটাং
হাত ডাকে পা ডাকে
অন্ধ চাঁদ যায় আসে আকাশে।
মতিহারি কন্যার ঘোলা জল খোলা চূল
চুলে গিঁট সহস্র শতকের
তাম্বুর দাঁত ঘষে নাভিতে।
এক বুক লাল জলে মারা গেল রাত্রি
মালকোষ থেমে গেল ক্লান্ত
ঘুম নামে মতিহারি কন্যার চক্ষে,
এক ঝাঁক শকুন ছিঁড়ে পড়ে সারসির বক্ষে।। "
আলিঙ্গন
শা ন্ত নু মৈ ত্র
ডানা মেলেছিল স্বপ্নেরা,এক অশান্ত বিকেল
বেলায়
ছিলনা কোনো ফ্যাকাশে অবসাদ,
অজান্তেই পার হয়েছিলাম এক অজানা প্রান্তর
ঠোঁটের কোণে ছিল তোমার ঠোঁটের স্বাদ ।
একা একা কাটে দিন বেদনার বঞ্চনায়
নিষ্ঠুর সেই সত্যিরা আজ দাঁড়িয়েছে মুখোমুখি ,
অনেক যুদ্ধ শেষে নিঃস্ব সৈনিক আমি
ঠুনকো অস্ত্বিত্বের মাঝে ... আমি একাকিত্বেই সুখী ।
মানবিকতাই হয়ত পরিচয় আমার ...
তবু মানুষ হতে পারিনি
যুদ্ধ থেমেছে অনেক আগে ,
আজও আমরা হারিনি ।
ফিরিয়ে নেওয়া দুচোখ জ্বলে
নিঃস্তব্ধ এক শ্মশানে
পুড়ে গেছে মন ... অশালীন সেই
তোমার নীলাভ আলিঙ্গনে।
সংক্ষিপ্ত চেতনার বিলাসিতায়
অবাধ্য দৃষ্টিকোণে
ধর্ষিত এই জীবনবোধ ,
একলা প্রমাদ গোনে।
কারাগার জুড়ে মানবিকতার শির:চ্ছেদ
রক্তের বান ভাসে
হাজার হাজার স্বপ্নের ভিড়ে
একটি প্রশ্ন আসে ।
শরীর নিয়ে ছেলেখেলা
রক্তস্রোত ,সাদা চাদর জুড়ে
নির্লিপ্ত কোন চিতার মাঝে
অবৈধ প্রেম যাচ্ছে পুড়ে ।।
ছিলনা কোনো ফ্যাকাশে অবসাদ,
অজান্তেই পার হয়েছিলাম এক অজানা প্রান্তর
ঠোঁটের কোণে ছিল তোমার ঠোঁটের স্বাদ ।
একা একা কাটে দিন বেদনার বঞ্চনায়
নিষ্ঠুর সেই সত্যিরা আজ দাঁড়িয়েছে মুখোমুখি ,
অনেক যুদ্ধ শেষে নিঃস্ব সৈনিক আমি
ঠুনকো অস্ত্বিত্বের মাঝে ... আমি একাকিত্বেই সুখী ।
মানবিকতাই হয়ত পরিচয় আমার ...
তবু মানুষ হতে পারিনি
যুদ্ধ থেমেছে অনেক আগে ,
আজও আমরা হারিনি ।
ফিরিয়ে নেওয়া দুচোখ জ্বলে
নিঃস্তব্ধ এক শ্মশানে
পুড়ে গেছে মন ... অশালীন সেই
তোমার নীলাভ আলিঙ্গনে।
সংক্ষিপ্ত চেতনার বিলাসিতায়
অবাধ্য দৃষ্টিকোণে
ধর্ষিত এই জীবনবোধ ,
একলা প্রমাদ গোনে।
কারাগার জুড়ে মানবিকতার শির:চ্ছেদ
রক্তের বান ভাসে
হাজার হাজার স্বপ্নের ভিড়ে
একটি প্রশ্ন আসে ।
শরীর নিয়ে ছেলেখেলা
রক্তস্রোত ,সাদা চাদর জুড়ে
নির্লিপ্ত কোন চিতার মাঝে
অবৈধ প্রেম যাচ্ছে পুড়ে ।।
কৃষ্ণচুড়ায় রং লেগেছে
শৈলেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী মানিক
শৈলেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী মানিক
তুমি তো আমায় কথা
দিয়েছিলে
এমনই কোন এক মাঝ রাতে
আমার হয়ে আসবে ।
কই তুমি তো এলে না !
পৃথিবীর গান থেমে গেছে
সবুজ পাতা ঝড়ে পরেছে ।
বহু দিন হয় এখানে বৃষ্টি হয় না
প্রবল খরা প্রকৃতির ।
তপ্ত বাতাস বয়ে যায়
বিভত্স গরম বয়ে যায়
শীতল হব শীতল করবে
তবুও তুমি এলে না !
ইদানিং রাতে ঘুম আসে না
কী সব ছাইপাঁস ভাবি
সাদার মাঝে কালো ভাবি
কালো মাঝে জল ভাবি
জলের মাঝে আকাশ ভাবি
এমনই কোন এক মাঝ রাতে
আমার হয়ে আসবে ।
কই তুমি তো এলে না !
পৃথিবীর গান থেমে গেছে
সবুজ পাতা ঝড়ে পরেছে ।
বহু দিন হয় এখানে বৃষ্টি হয় না
প্রবল খরা প্রকৃতির ।
তপ্ত বাতাস বয়ে যায়
বিভত্স গরম বয়ে যায়
শীতল হব শীতল করবে
তবুও তুমি এলে না !
ইদানিং রাতে ঘুম আসে না
কী সব ছাইপাঁস ভাবি
সাদার মাঝে কালো ভাবি
কালো মাঝে জল ভাবি
জলের মাঝে আকাশ ভাবি
আকাশের মাঝে তোমাকে
ভাবি
তবুও তুমি এলে না !
আজ তোমাকে আসতেই হবে
আজ তোমাকে বলতেই হবে
তুমি কাকে ভালবাস ?
আজ তোমাকে কৃষ্ণচুড়ার রং এ
রাঙ্গাবো অধর খানি !
তাই আজ কৃষ্ণচুড়ায় রং লেগেছে
হয়তো কৃষ্ণ কালো মেঘ এসে
উড়ায়ে নিয়ে যাবে সব কিছু ।
এসো হিমালয়ের বন্ধু
কাছে এসো আর হারায়ে যেও না !
তবুও তুমি এলে না !
আজ তোমাকে আসতেই হবে
আজ তোমাকে বলতেই হবে
তুমি কাকে ভালবাস ?
আজ তোমাকে কৃষ্ণচুড়ার রং এ
রাঙ্গাবো অধর খানি !
তাই আজ কৃষ্ণচুড়ায় রং লেগেছে
হয়তো কৃষ্ণ কালো মেঘ এসে
উড়ায়ে নিয়ে যাবে সব কিছু ।
এসো হিমালয়ের বন্ধু
কাছে এসো আর হারায়ে যেও না !
জীবন
নি র্মা ল্য ব ন্দ্যো পা ধ্যা য়
দু-দুটো জীবন রেখেছি হাতের কাছেই
ঘড়িবাঁধা আর বেবাক ভুলেতে ভরা
একদিকে থাক ভাসমান যৌবন
সময় কুসুমে উপগত হোক জরা...
যাবো বলে কার ভয়
হা-হুতাশী সংশয়
এ মুখ আমার নয়
অপচয়, অপচয়...
খেয়াল খুশিতে খরচা করতে পারি
ডানা মেলে দ্যায় নীলপরী রোদসুখে
দিনগোনা হাত পিয়াসী হাত কে বলে
স্মিত রুপকথা লেখো মৃত্যুর বুকে...
নি র্মা ল্য ব ন্দ্যো পা ধ্যা য়
দু-দুটো জীবন রেখেছি হাতের কাছেই
ঘড়িবাঁধা আর বেবাক ভুলেতে ভরা
একদিকে থাক ভাসমান যৌবন
সময় কুসুমে উপগত হোক জরা...
যাবো বলে কার ভয়
হা-হুতাশী সংশয়
এ মুখ আমার নয়
অপচয়, অপচয়...
খেয়াল খুশিতে খরচা করতে পারি
ডানা মেলে দ্যায় নীলপরী রোদসুখে
দিনগোনা হাত পিয়াসী হাত কে বলে
স্মিত রুপকথা লেখো মৃত্যুর বুকে...
জিতবো জানি
পৃ থা রা য় চৌ ধু রী
শঙ্খচূড়ের লক্ষ ফণা মেঝেয় ছড়িয়ে
রোজ খেলনা বেছেছি,
আর চুমু খাবার ছলে, জারক শুষে নিয়ে
চরম আনন্দে দেখেছি শিথিল সৌন্দর্য।
অনেক শতাব্দীর ক্ষিধে মেটাতে এসেছি
লকলকে জিভে আমিশ
আরও চাই বলে হাহাকার করেছি, আর
আদুরে অধিকারের ডাক ভেবে নিঃশেষ হতে এসেছ।
নিকোটিন কালো দাঁতে মরণ কামড় দিয়েছি
ফোঁটা রক্তে অমৃত
ঘুমের চাদরে সাজিয়েছি চিতা, চন্দন গন্ধে
পোড়া শরীর লুকিয়ে করেছি প্রমাণ লোপ।
পৌরুষের দাবি রেখেছি প্রতি ঘন্টার হিসেবে
নির্লজ্জ আব্দারের ভাঁজে
কুটিল চাহিদার ব্যাকগ্রাউন্ডে কোকিলের ডাকে,
বুঝে ফেলেছি আজ নিরুপায় ভালোবাসো।
শঙ্খচূড়ের লক্ষ ফণা মেঝেয় ছড়িয়ে
রোজ খেলনা বেছেছি,
আর চুমু খাবার ছলে, জারক শুষে নিয়ে
চরম আনন্দে দেখেছি শিথিল সৌন্দর্য।
অনেক শতাব্দীর ক্ষিধে মেটাতে এসেছি
লকলকে জিভে আমিশ
আরও চাই বলে হাহাকার করেছি, আর
আদুরে অধিকারের ডাক ভেবে নিঃশেষ হতে এসেছ।
নিকোটিন কালো দাঁতে মরণ কামড় দিয়েছি
ফোঁটা রক্তে অমৃত
ঘুমের চাদরে সাজিয়েছি চিতা, চন্দন গন্ধে
পোড়া শরীর লুকিয়ে করেছি প্রমাণ লোপ।
পৌরুষের দাবি রেখেছি প্রতি ঘন্টার হিসেবে
নির্লজ্জ আব্দারের ভাঁজে
কুটিল চাহিদার ব্যাকগ্রাউন্ডে কোকিলের ডাকে,
বুঝে ফেলেছি আজ নিরুপায় ভালোবাসো।
কিছু কবিতা
মৌ দা শ গু প্তা
আদম ও ঈভ
জীবনের সাজঘরে পাশাপাশি বসবাস,
সারল্যে, আনন্দে, মন ভরা বারোমাস,
সর্পিল জিজ্ঞাসা,বড় কূতুহলী মন,
স্বর্গীয় আপেলের মোহভাঙ্গা প্রয়োজন।
এখনো
এখনো প্রেম আসে, দেশে কি পরবাসে,
পাখীরা নীড় বাঁধে একান্তে ভালোবেসে,
এখনো ফুল ফোটে.স্বপ্নেরা ভেঙ্গে যায়,
বানভাসি মন মেশে জীবনের মোহনায়।
ইতিহাস
মুখবন্ধে প্রতাপ ছিল ক্ষণস্থায়ী দিন,
পূর্বজদের রক্তে ছিল অনেক দিনের ঋণ,
সত্য ছিল,মিথ্যা ছিল,ছিল গল্পগাঁথা,
সব যদিও অতীত এখন,মনে আসন পাতা।
ঋণ
স্বপ্ন দেখে কাটাই সময়,উদাস হল দিন,
মেঘলা আকাশ, ব্যস্ত দুপুর, বিরাম অন্তহীন।
জীবন খাতায় দিন প্রতিদিন বাড়ছে সুদের মাশুল ,
মনের কাছে মন হারিয়ে সুদে আসলে উশুল।
রঙ্গিন সুখ
রাধাচূড়ার পাপড়িরঙা সুখ
বৃন্ত ছিঁড়ে ঘাসেদের সংসারে
“তৃণদপিহীন” হয়ে থাকা ঝকমারি
তবু মুখ ঢাকি চুপ-কথাদের ভিড়ে
ভেজা চোখের পাতায় আগুন জ্বালি
সিঁদুর কাঠি জয়ের তিলক কাটে
নিজেকে নিজে রঙ্গিন সাজিয়ে তুলি
সুখ দুখের ভরা ঘট হৃদিপটে ।।
পোড়া এ মন
উছলে ওঠে মন খারাপের হাওয়া
সাঁঝের বেলায় ধুলো মাখা আঁচলে,
সময় এঁকেছে উদাসীন আঁকিবুঁকি,
পোড়া মন ডোবে ভালোবাসা নদী জলে।।
মৌ দা শ গু প্তা
আদম ও ঈভ
জীবনের সাজঘরে পাশাপাশি বসবাস,
সারল্যে, আনন্দে, মন ভরা বারোমাস,
সর্পিল জিজ্ঞাসা,বড় কূতুহলী মন,
স্বর্গীয় আপেলের মোহভাঙ্গা প্রয়োজন।
এখনো
এখনো প্রেম আসে, দেশে কি পরবাসে,
পাখীরা নীড় বাঁধে একান্তে ভালোবেসে,
এখনো ফুল ফোটে.স্বপ্নেরা ভেঙ্গে যায়,
বানভাসি মন মেশে জীবনের মোহনায়।
ইতিহাস
মুখবন্ধে প্রতাপ ছিল ক্ষণস্থায়ী দিন,
পূর্বজদের রক্তে ছিল অনেক দিনের ঋণ,
সত্য ছিল,মিথ্যা ছিল,ছিল গল্পগাঁথা,
সব যদিও অতীত এখন,মনে আসন পাতা।
ঋণ
স্বপ্ন দেখে কাটাই সময়,উদাস হল দিন,
মেঘলা আকাশ, ব্যস্ত দুপুর, বিরাম অন্তহীন।
জীবন খাতায় দিন প্রতিদিন বাড়ছে সুদের মাশুল ,
মনের কাছে মন হারিয়ে সুদে আসলে উশুল।
রঙ্গিন সুখ
রাধাচূড়ার পাপড়িরঙা সুখ
বৃন্ত ছিঁড়ে ঘাসেদের সংসারে
“তৃণদপিহীন” হয়ে থাকা ঝকমারি
তবু মুখ ঢাকি চুপ-কথাদের ভিড়ে
ভেজা চোখের পাতায় আগুন জ্বালি
সিঁদুর কাঠি জয়ের তিলক কাটে
নিজেকে নিজে রঙ্গিন সাজিয়ে তুলি
সুখ দুখের ভরা ঘট হৃদিপটে ।।
পোড়া এ মন
উছলে ওঠে মন খারাপের হাওয়া
সাঁঝের বেলায় ধুলো মাখা আঁচলে,
সময় এঁকেছে উদাসীন আঁকিবুঁকি,
পোড়া মন ডোবে ভালোবাসা নদী জলে।।