এই সংখ্যার লেখক সূচি - কাকলী মুখোপাধ্যায়, অলক বিশ্বাস,
সুমিত রঞ্জন দাশ, সপ্তাশ্ব ভৌমিক, অনুপম দাশ শর্মা, বৈজয়ন্ত রাহা,
অরিন্দম চন্দ্র, মহাশ্বেতা আচার্য, , বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়,
তুষ্টি ভট্টাচার্য, দীপন মুখোপাধ্যায়, শিবলী শাহেদ, হেনরী ইকবাল, ইন্দ্রনীল
তিওয়ারী , সতীশ বিশ্বাস, সাইফুর রহমান শাকিব, সোনালী বেগম, গোলাম মোর্শেদ চন্দন, ও
শামিম পারভেজ ।
সম্পাদকীয় -
এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শোকের আবহে
প্রকাশ করলাম ‘অন্যনিষাদ’- ১০৭তম সংখ্যা । দুর্ঘটনা নয় – হত্যা । গত শনিবার
মধ্যরাত্রে ঢাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে আসুলিয়া শিল্পনগরীর এক পোষাক কারখানায়
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রাণ হারিয়েছেন দেড়শতাধিক মানুষ যাদের অধিকাংশই মহিলা ও শিশু ।
মানুষ আর তার হৃদয়হীনতাই যে এই মৃত্যুমিছিলের কার্যকারণ সেই সত্যও আমরা জেনেছি ।
মহাভারতের জতুগৃহ থেকে পান্ডবরা সুড়ঙ্গ পথে আপন প্রাণ বাচিয়েছিলেন পাঁচ নিষাদ সন্তানের
প্রাণের বিনিময়ে । একালের জতুগৃহে সুড়ঙ্গ থাকেনা, বরং নির্গমনের পথটাই বন্ধ থাকে,
যেমন ছিল আসুলিয়ার ‘তাজরিন ফ্যাক্টরী’র ফাটক । সংবাদ পত্রে প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে
যে, গত কুড়ি বছরে আসুলিয়াতেই ৩৩টি পোষাক কারখানায় অগ্নিকান্ড ঘটেছে যাতে নিহত
হয়েছিলেন ৫৫০জন আহত ২০০০ । প্রশাসন নির্বিকার ! তাহলে মানুষের হৃদয়হীনতাই যে এই
মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কার্যকারণ এই সত্যকে অস্বীকার করবে কে ?
একই দিনে চট্টগ্রামে একটি নির্মীয়মান
উড়ালপুল ভেঙে পড়ায় নিহত হয়েছেন ১৫জন ।
এই মৃত্যুমিছিলে নিহতদের উদ্দেশ্যে গভীর
মর্মবেদনা প্রকাশ করছি ও তাঁদের নিকটজনদের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি ।
এই সংখ্যার
প্রথম কবিতাটি তাঁদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত ।
কাকলী মুখোপাধ্যায়
বন্ধ দরজা
আসুলিয়ায় ঘাতক আগুন থেকে যাদের বাঁচতে
দেয়া হয়নি গেট বন্ধ রেখে সেই মা বোনদের উদ্দেশ্যে
বন্ধ
দরজাটা খুলে দাও আলীবাবা
আমারা জানিনা মন্ত্র বেদ বাক্যে নেই অধিকার।
দরজাটা খুলে দাও আলীবাবা
ধোঁয়ায় ভরেছে ঘর শ্বাস নালী ভরে গেছে ধূমে!
ছেলেটা বাড়িতে একা না খেয়েই থাকবে যে বসে
খোলনা দরজা আলীবাবা।
সত্য পীরের দোয়াই আমাকে যেতেই হবে আজ
পোয়াতি মেয়েটা ঘরে কখন কি ঘটে!!
আগুন লেগেছে ধোঁয়ায় ভরেছে ঘর !
পোড়া চামড়ার ঘ্রাণ সইতে পারিনা
খুলেদে দরজা তুই দুষ্ট আলীবাবা।
ঝলসে গেলাম মাগো দরোজা খোলেনা
সহমরণে যাই
আলীবাবা দরজা খোলেনা।
আমারা জানিনা মন্ত্র বেদ বাক্যে নেই অধিকার।
দরজাটা খুলে দাও আলীবাবা
ধোঁয়ায় ভরেছে ঘর শ্বাস নালী ভরে গেছে ধূমে!
ছেলেটা বাড়িতে একা না খেয়েই থাকবে যে বসে
খোলনা দরজা আলীবাবা।
সত্য পীরের দোয়াই আমাকে যেতেই হবে আজ
পোয়াতি মেয়েটা ঘরে কখন কি ঘটে!!
আগুন লেগেছে ধোঁয়ায় ভরেছে ঘর !
পোড়া চামড়ার ঘ্রাণ সইতে পারিনা
খুলেদে দরজা তুই দুষ্ট আলীবাবা।
ঝলসে গেলাম মাগো দরোজা খোলেনা
সহমরণে যাই
আলীবাবা দরজা খোলেনা।
অলক বিশ্বাস
টিয়া রোদ
ওড়াই হাওয়া বৃষ্টি-রোদে
পাতায় পাতায় সকালবেলা
দোলানো বেণী মন ছুঁয়ে যায়
মন খারাপের বিকেলবেলা।
দোলানো বেণী মন ছুঁয়ে যায়
মন খারাপের বিকেলবেলা।
ছায়াকথা উড়ে গেলে পরে
টিয়া রোদ জাপটে ধরে বলি
কিশোরী খামে ভরে দিও প্রেম
ময়ূর পালক গুঁজে খেলবো হোলি।
টিয়া রোদ জাপটে ধরে বলি
কিশোরী খামে ভরে দিও প্রেম
ময়ূর পালক গুঁজে খেলবো হোলি।
যত্নঘরে স্বপ্নময় রয়েছে
ইচ্ছেরা
সরে যাও ছায়া তুমিও ঝরাপাতা
আবার রোদের চাষে অরণ্যে গান
পাখিদের, বাধা দেওয়া বৃথা।
সরে যাও ছায়া তুমিও ঝরাপাতা
আবার রোদের চাষে অরণ্যে গান
পাখিদের, বাধা দেওয়া বৃথা।
ভালোবাসা, ভালোবাসি তোমাকে
বলিনি কখনো গল্প লেখার ভুলে
নিখুঁত বৃত্তে আঁকি মুখ,নাটাবনে
সন্ধ্যা নামে দু’চোখ এলোচুলে।
বলিনি কখনো গল্প লেখার ভুলে
নিখুঁত বৃত্তে আঁকি মুখ,নাটাবনে
সন্ধ্যা নামে দু’চোখ এলোচুলে।
সুমিত রঞ্জন দাশ
নারী না পুরুষ
কারা পুরুষ
নারীবাদী কারা ভাবে নিজেকে
তোমার সংসারে যখন তুমি নিজেই কর্তা
পিতৃতান্ত্রিক সমাজের প্রতিভু স্বয়ং তুমিই !
তোমার সংসারে যখন তুমি নিজেই কর্তা
পিতৃতান্ত্রিক সমাজের প্রতিভু স্বয়ং তুমিই !
চিৎকারে কেউ উত্তর দেবে
না
ছাপা অক্ষরে বর্ণগুলো প্রতিবাদ জানাবে না
কেবল পাতাভর্তি বিক্ষোভ কাগজে লেখা হতে থাকবে;
ছাপা অক্ষরে বর্ণগুলো প্রতিবাদ জানাবে না
কেবল পাতাভর্তি বিক্ষোভ কাগজে লেখা হতে থাকবে;
গাল বেয়ে নেমে আসা নোনতা
স্বাদের
দু'ফোঁটা চোখের জল মেয়েটা গিলে ফেলে
দু'ফোঁটা চোখের জল মেয়েটা গিলে ফেলে
আর ভাবতে থাকে
এইসব স্বামী সংসার
সামাজিক বিধিনিষেধ
একটা ওয়াই ক্রোমোজোমের জন্য
একটা ওয়াই ক্রোমোজোমের জন্য
আসলে শিক্ষিত হওয়া মানেই
তো প্রতিবাদ নয়।
সপ্তাশ্ব ভৌমিক
এই হেমন্তে
হেমন্তের হিমে – এই বিবর্ণ পাহাড় চূড়ায়
আগুনের প্রতীক্ষায় আছো !
প্রত্যাশার আড়াল থেকে
জ্বলন্ত মশাল এসে
আগুন জ্বালিয়ে দেবে শুকনো পাতায় ?
জলহীন নদী বাঁচে আশায় আশায়!
আগুনের প্রতীক্ষায় আছো !
প্রত্যাশার আড়াল থেকে
জ্বলন্ত মশাল এসে
আগুন জ্বালিয়ে দেবে শুকনো পাতায় ?
জলহীন নদী বাঁচে আশায় আশায়!
শরীরের খাঁজে ভাঁজে
সময়ের কৃপণ হাহাকার
আগুন –মাটি- জল মিলেমিশে জমাট পাথর
ভাসমান কৌতুক জরা হয়ে ডাকে
আগুন –মাটি- জল মিলেমিশে জমাট পাথর
ভাসমান কৌতুক জরা হয়ে ডাকে
প্রতিটি পথের বাঁকে
অবিরাম ক্ষয়
একটু আড়াল পেলে জাগে মৃত্যুভয়।
তবু জীর্ণ জীবনের অলীক সঞ্চয়
কাজলের চিহ্ন নিয়ে বাঁচে!
একটু আড়াল পেলে জাগে মৃত্যুভয়।
তবু জীর্ণ জীবনের অলীক সঞ্চয়
কাজলের চিহ্ন নিয়ে বাঁচে!
তুমি সেই কলঙ্কের ঠিকানা
জানো না
গুঁড়ো গুঁড়ো অহংকার ধুলো হয়ে ওড়ে
হেমন্তের বন্ধু তুমি কখনো ছিলে না
ফসলের বন্ধু তুমি কখনো ছিলে না
গুঁড়ো গুঁড়ো অহংকার ধুলো হয়ে ওড়ে
হেমন্তের বন্ধু তুমি কখনো ছিলে না
ফসলের বন্ধু তুমি কখনো ছিলে না
হেমন্ত তোমাকে আজ
নির্বাসন দেবে !
মহাশ্বেতা আচার্য
বাকরুদ্ধ বাড়ী – পুড়ে যাওয়া... ও সংক্ষিপ্ত নিঃশ্বাস -
কতো সময় দেখি, রাতকে ভোর বলে মনে হয়। ঠাণ্ডা হাওয়া এসে লাগে। এবং নৈঃশব্দ্য ছিপ ফেলে বসে থাকে স্থিরজল ডোবায় ।
এভাবেই কতো কতো সমাপ্তি আমরা সূচনা ভেবে বসি - অথবা শুরুতে দেখে ফেলি শেষের আবহ। এরপর শুধু সেসমস্ত জেনে-যাওয়ার বিস্মৃতির নিমেষ পড়ে থাকে। অথচ হয়তো কেউ জানতেও পারিনি - সমস্ত সব কবে কোনকালেই শেষ হয়ে আছে অথবা বাস্তবিক শুরুই হয়নি কখনো...!
শেষরাত্রে হঠাৎ শ্বাসের কষ্ট খুব। বেশ কিছু সময় বাদে অকারণে ঘরে এসে খোঁজ পেলে কেউ - ওষুধপত্র বাতাস কান্না নিঃশ্বাস... এবং এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সময়ও নেবে বেশ কিছু দিন। ক্ষীণতম চোখ মেলায় দেখা দেবে কাঙ্ক্ষিত স্বজন আর লহমায় একজীবনের ফ্ল্যাশব্যাকের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে ......
সত্যি করে বলো, এমন এক দিনের জন্য জ্ঞাতে অজ্ঞাতে তুমিও কি অপেক্ষা করো না?
কে যেন বলেছিলো - 'মাঝে মাঝে বুকের মধ্যে মনে হয় পোড়োবাড়ীর মতো শব্দ পাই...'
কতো সময় দেখি, রাতকে ভোর বলে মনে হয়। ঠাণ্ডা হাওয়া এসে লাগে। এবং নৈঃশব্দ্য ছিপ ফেলে বসে থাকে স্থিরজল ডোবায় ।
এভাবেই কতো কতো সমাপ্তি আমরা সূচনা ভেবে বসি - অথবা শুরুতে দেখে ফেলি শেষের আবহ। এরপর শুধু সেসমস্ত জেনে-যাওয়ার বিস্মৃতির নিমেষ পড়ে থাকে। অথচ হয়তো কেউ জানতেও পারিনি - সমস্ত সব কবে কোনকালেই শেষ হয়ে আছে অথবা বাস্তবিক শুরুই হয়নি কখনো...!
শেষরাত্রে হঠাৎ শ্বাসের কষ্ট খুব। বেশ কিছু সময় বাদে অকারণে ঘরে এসে খোঁজ পেলে কেউ - ওষুধপত্র বাতাস কান্না নিঃশ্বাস... এবং এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সময়ও নেবে বেশ কিছু দিন। ক্ষীণতম চোখ মেলায় দেখা দেবে কাঙ্ক্ষিত স্বজন আর লহমায় একজীবনের ফ্ল্যাশব্যাকের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে ......
সত্যি করে বলো, এমন এক দিনের জন্য জ্ঞাতে অজ্ঞাতে তুমিও কি অপেক্ষা করো না?
কে যেন বলেছিলো - 'মাঝে মাঝে বুকের মধ্যে মনে হয় পোড়োবাড়ীর মতো শব্দ পাই...'
একথা তারপর বহুবার আমার ভাবনায় ঘোরাফেরা করে আর আমি প্রহর জুড়ে চলি সময়ে-অসময়ে সেই শব্দ শুনে নেবার অপেক্ষায় । আর কেবলই মনে হয়, এসমস্ত ইচ্ছেপূরণ সাধ ফুরিয়ে গেলে পর হয়তো কখনো সেই শব্দ পেয়ে যাবো !
এমন শব্দ তুমি শুনেছো কিনা আমার জানা নেই - হয়তো তবে আমাদের সবটুকু পুড়ে যাওয়া বাকি রয়ে গেছে...!
এমন শব্দ তুমি শুনেছো কিনা আমার জানা নেই - হয়তো তবে আমাদের সবটুকু পুড়ে যাওয়া বাকি রয়ে গেছে...!
অনুপম দাশ শর্মা
দাগ
রেখে যাওয়া দাগ ঘুমন্ত ভিসুভিয়াস
দাগের গন্ধ শুঁকে শুঁকে
অক্ষর সাথে সহবাস।
উর্বর ক্ষেত ভরা বাতাস বর্ণ ছড়ায়
সংজ্ঞা হারানো ভাললাগা
সোহাগায় কুয়াশা জড়ায়।
অক্ষর সাথে সহবাস।
উর্বর ক্ষেত ভরা বাতাস বর্ণ ছড়ায়
সংজ্ঞা হারানো ভাললাগা
সোহাগায় কুয়াশা জড়ায়।
আছো যাঁরা ভাবনা সরানো
দ্বীপ সুখে
সরে এসো সাতনরী পাশে
স্পন্দিত কবিতার বুকে।
সরে এসো সাতনরী পাশে
স্পন্দিত কবিতার বুকে।
বৈজয়ন্ত রাহা
তোমাকে চিনি
আমার কোন সুখ ছিল এ আমার
মনেও পড়েনা,
আমার কোন দুঃখ ছিল সে আমি ভুলেই গেছি,
কিরকম বোধহীন...,
নিরীশ্বরের মতো ধাবমান অথবা স্থির, এই আমি,
অথচ কিভাবে তাকালে...যেন এইখানে যতিচিহ্ন দিতে হবে।
অদ্ভুত!
উপরে এতো উজ্জ্বল আলো, ফ্লুরোসেন্টের কাঁচে বছর ভেসে যায়,
অবশ্য আলো তো ওপরেই থাকে, অপরের হয়ে, আশেপাশে অন্ধকার ,
ঐখানে ডুবে থাকি আমি, নিঃসীমে...অসাড়
ভ্রান্তিময় দিনগুলো...ডানাকাটা পাখি হয়ে ছটফট করে, দেখেও দেখিনা আজকাল,
আমার তো বরাবরি কাবলির অভ্যাস,
ছিঁড়ে গেলে, বুক পকেটে রেখে দিই গরম নিঃশ্বাস,
অন্ধকার হাল্কা হয়ে আসে,
এই অবেলায় এই নির্বোধ মুর্তির সামনে দাঁড়িয়ে কে তুমি জীবন্ত শাড়ী...
তোমাকে চিনি?
আঁচলে এলাচ নিয়ে ভ্রুভঙ্গে নৃত্যকল্প, অসহনীয় কারুকাজ,
দু-স্তনের মাঝামাঝি, ব্যাগের বাদামী সে স্ট্র্যাপ...
কটিতটে মাখন-সুষমা...
জানো নাকি
আমার কোন জন্ম নেই, আমার কোন মৃত্যুও নেই, এই অবেলায়...
ক্রমাগত নীচে, ঐ বহু নীচে রাস্তাগুলো পেরিয়ে যায় এইসব অমূলক সহানুভুতি,
আমি আরো নীচু হয়ে আসি, বিতস্তার প্রাচীন বালি্তে
মুখ গুঁজি,
আমি জানি, আমি নেই, ছিলামও না
অথবা সারাদিন সারারাত্রি ব্যেপে...আমিই ছিলাম সশরীরে...ঘন পারাবারে...??
না থেকেও আছি...নাকি থেকেও কোথাও আমি নেই...
আদম-ইভের এই কানামাছি...
তুমি কি তাই দেখতে এসেছো?
কিরকম বোধহীন...,
নিরীশ্বরের মতো ধাবমান অথবা স্থির, এই আমি,
অথচ কিভাবে তাকালে...যেন এইখানে যতিচিহ্ন দিতে হবে।
অদ্ভুত!
উপরে এতো উজ্জ্বল আলো, ফ্লুরোসেন্টের কাঁচে বছর ভেসে যায়,
অবশ্য আলো তো ওপরেই থাকে, অপরের হয়ে, আশেপাশে অন্ধকার ,
ঐখানে ডুবে থাকি আমি, নিঃসীমে...অসাড়
ভ্রান্তিময় দিনগুলো...ডানাকাটা পাখি হয়ে ছটফট করে, দেখেও দেখিনা আজকাল,
আমার তো বরাবরি কাবলির অভ্যাস,
ছিঁড়ে গেলে, বুক পকেটে রেখে দিই গরম নিঃশ্বাস,
অন্ধকার হাল্কা হয়ে আসে,
এই অবেলায় এই নির্বোধ মুর্তির সামনে দাঁড়িয়ে কে তুমি জীবন্ত শাড়ী...
তোমাকে চিনি?
আঁচলে এলাচ নিয়ে ভ্রুভঙ্গে নৃত্যকল্প, অসহনীয় কারুকাজ,
দু-স্তনের মাঝামাঝি, ব্যাগের বাদামী সে স্ট্র্যাপ...
কটিতটে মাখন-সুষমা...
জানো নাকি
আমার কোন জন্ম নেই, আমার কোন মৃত্যুও নেই, এই অবেলায়...
ক্রমাগত নীচে, ঐ বহু নীচে রাস্তাগুলো পেরিয়ে যায় এইসব অমূলক সহানুভুতি,
আমি আরো নীচু হয়ে আসি, বিতস্তার প্রাচীন বালি্তে
মুখ গুঁজি,
আমি জানি, আমি নেই, ছিলামও না
অথবা সারাদিন সারারাত্রি ব্যেপে...আমিই ছিলাম সশরীরে...ঘন পারাবারে...??
না থেকেও আছি...নাকি থেকেও কোথাও আমি নেই...
আদম-ইভের এই কানামাছি...
তুমি কি তাই দেখতে এসেছো?
অরিন্দম চন্দ্র
শূণ্য তুমি তিলোত্তমা
সব শূণ্যতা,
সব না থাকা,না জানা
সব কিছুকেই ছাপিয়ে
ব্রহ্মে মিলিয়ে যাবো
একদিন...
চেতনায় মুখর হওয়া
সেই অনামী দিনে
সব কিছুকেই ছাপিয়ে
ব্রহ্মে মিলিয়ে যাবো
একদিন...
চেতনায় মুখর হওয়া
সেই অনামী দিনে
তিল তিল করে বেড়ে
তিলোত্তমা হবে তুমি...
ক্রমবর্ধমান মহাবিশ্বের
নিষ্কাম,মিশকালো অন্ধকারে
সহস্র আলোকবর্ষ দূরে
আমি,খুব কাছাকাছি।
তিলোত্তমা হবে তুমি...
ক্রমবর্ধমান মহাবিশ্বের
নিষ্কাম,মিশকালো অন্ধকারে
সহস্র আলোকবর্ষ দূরে
আমি,খুব কাছাকাছি।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)