১৭টি কবিতা লিখেছেন - সরদারফারুক, মেঘ অদিতি,মিত্রপক্ষ সাই,অলক বিশ্বাস,আমিতাভ দাশ,শ্যামল দাশ,দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়,মৌ মধুবন্তী,স্বপন সেনগুপ্ত, রাজন্য রুহানি, ফারহানা খানম, রাহুল রায়চৌধুরী, অভয় বর্মণ রায়,শিবলী শাহেদ, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ইন্দ্রাণী সরকার ও দেবাশীষ লাহা ।
সরদার ফারুক
একটু একটু করে

একটু একটু করে মাথা বের করি
প্রাকৃতিক,ইঁটের আড়াল থেকে ঘাস
ছাইয়ের অন্তর থেকে আগুনের শিশু
গাভীর ওলান থেকে বেরিয়ে পড়ছি
দুধের ফিনকি ,অমৃত রসের ধারা
অল্প অল্প করে চোখ খুলে দেখি
ম্রিয়মান কারখানা ,বিবাদের জমি
উনুন-নেভানো মানুষের ঘরদোর

একটু একটু করে মাথা বের করি
প্রাকৃতিক,ইঁটের আড়াল থেকে ঘাস
ছাইয়ের অন্তর থেকে আগুনের শিশু
গাভীর ওলান থেকে বেরিয়ে পড়ছি
দুধের ফিনকি ,অমৃত রসের ধারা
অল্প অল্প করে চোখ খুলে দেখি
ম্রিয়মান কারখানা ,বিবাদের জমি
উনুন-নেভানো মানুষের ঘরদোর
উগ্রগন্ধী এক ছাতিম
গাছের নিচে
অনন্তের ঘোড়া এসে কালো শ্বাস ছাড়ে
প্রাণপনে ঘাড় চেপে ধরি
অনন্তের ঘোড়া এসে কালো শ্বাস ছাড়ে
প্রাণপনে ঘাড় চেপে ধরি
মিত্রপক্ষ সাই
মঙ্গল থেকে ঝড়ে পড়া
উল্কার হৃদয় খুড়ে দেখি তোমায়
অহর্নিশি, কৃষ্ণসুন্দরী।
সাহারায় শেষে ঘর বাঁধলে!
চলো, আরেকবার তোমার আমার
হৃদয় নিয়ে ডান্ডাগুল্লি খেলি
গুল্লিটা মুঠোয় ধরতে পারলেই চলে যেও
আবার সাহারায়।
কৃষ্ণসুন্দরী, বালির নীচে লুকিয়ে রেখো আমায়
মজ্জা, সুখ, অসুখ তোমার সবার
আমার জন্য রেখে দিও
কলজে তে জমে থাকা জল
শেষপাতে দিও আমায়।
উল্কার হৃদয় খুড়ে দেখি তোমায়
অহর্নিশি, কৃষ্ণসুন্দরী।
সাহারায় শেষে ঘর বাঁধলে!
চলো, আরেকবার তোমার আমার
হৃদয় নিয়ে ডান্ডাগুল্লি খেলি
গুল্লিটা মুঠোয় ধরতে পারলেই চলে যেও
আবার সাহারায়।
কৃষ্ণসুন্দরী, বালির নীচে লুকিয়ে রেখো আমায়
মজ্জা, সুখ, অসুখ তোমার সবার
আমার জন্য রেখে দিও
কলজে তে জমে থাকা জল
শেষপাতে দিও আমায়।
অলক বিশ্বাস
চুনপোচ
পাল্টে পাল্টে যাও যতবার কেবলই অবাক
কেন যে এমন হয় জানো না তুমিও হতবাক !
ঠিকানা বদল হলে তোমারও গ্লামার বাড়ে
চুনপোচে ঢাকো কথা জ্বালাতে হাড়ে হাড়ে
বৃষ্টি ভীষণ হলে সাতপাক দূরে ভেসে যায়
গল্পে গল্পে বাড়ে মেদ তুমি বলো এমনই হয়।
খুব একটা নয় চেনাজানা
দেখেছি অনেক
চাঁদ-সূর্যের এতো যে আলো তোমারি অর্ধেক
চাঁদ-সূর্যের এতো যে আলো তোমারি অর্ধেক
পাল্টে পাল্টে যাও যতবার কেবলই অবাক
কেন যে এমন হয় জানো না তুমিও হতবাক !
ঠিকানা বদল হলে তোমারও গ্লামার বাড়ে
চুনপোচে ঢাকো কথা জ্বালাতে হাড়ে হাড়ে
বৃষ্টি ভীষণ হলে সাতপাক দূরে ভেসে যায়
গল্পে গল্পে বাড়ে মেদ তুমি বলো এমনই হয়।
অমিতাভ দাশ

তোমার কথা লিখবো রাত্রি
হলে
চাঁদ যখনি আমার মতন একা...
তুমিও কি সেই বারান্দাতে এলে?
চাঁদ-অপলক তোমায় যেথায় দেখা?
চাঁদ যখনি আমার মতন একা...
তুমিও কি সেই বারান্দাতে এলে?
চাঁদ-অপলক তোমায় যেথায় দেখা?
বুকসাঁতারে পার করেছি নদী
পেরিয়ে এলাম ঢেউএর পরে ঢেউ
কেমন হতো তোমার কোলে যদি
রাখতো মাথা, জ্যোৎস্না-ভরা কেউ?
নিয়ে নিতাম সকল দীর্ঘশ্বাস
আলপনা দেয় ওই দেখ এই হাত
তোমার গালে নিবিড় প্রতিভাস
চোখে খুশীর নীরব ঝরনা পাত।
ভাবনা ছিল আনন্দময় নীল
রোমাঞ্চকর ডানার ওড়ান পাক
অনুভবে এলাম আমি, চিল,
এমন সুখেই...সুনয়না থাক!
শ্যামল দাষ
দূরে একটা চাঁদ ওঠে
আবার কোন একদিন ঠিক
ঘুরতে ঘুরতে এসে দাঁড়বো
তোমার এ প্রিয় জায়গায় । তুমি কি তখনো অপেক্ষারত
অস্থির দ্বিধা থরথর চূড়ে মিশে গেছ ব্যাস্ত নগরীর ভীড়ে
কোমল মন আজো উৎবেল অসর্পিল তোমাকে খুঁজে পেয়ে
তুমি কি এখানেই ছিলে এই ভীরু সন্ধ্যা নেমে আসা মাঠে
চারদিক আলোকিত করে দূরে একটা চাঁদ ওঠে ঝকঝকে
আবার কবে এসে আমি দাঁড়াবো এই মাঠের কিনারে শোকে ?
[অকাল প্রয়াত প্রিয়
কবি মাহমুদ হাছান]

তোমার এ প্রিয় জায়গায় । তুমি কি তখনো অপেক্ষারত
অস্থির দ্বিধা থরথর চূড়ে মিশে গেছ ব্যাস্ত নগরীর ভীড়ে
কোমল মন আজো উৎবেল অসর্পিল তোমাকে খুঁজে পেয়ে
তুমি কি এখানেই ছিলে এই ভীরু সন্ধ্যা নেমে আসা মাঠে
চারদিক আলোকিত করে দূরে একটা চাঁদ ওঠে ঝকঝকে
আবার কবে এসে আমি দাঁড়াবো এই মাঠের কিনারে শোকে ?
দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়
(১)
আমার প্রেমিক আমার নারী
আমিও তার পুরুষ নই,
চাঁদের গায়ে চাঁদ লাগলে
আমরা দুজন চাঁদকে ছুঁই...
আমিও তার পুরুষ নই,
চাঁদের গায়ে চাঁদ লাগলে
আমরা দুজন চাঁদকে ছুঁই...
(২)
মানবিক আঙিনায় খসে যাক
লিঙ্গ
ছাল বাকলের মতো,
শিমুলে পলাশে এসো ঢেকে দিই
মধ্যযুগীয় বিভেদের ক্ষত।
ছাল বাকলের মতো,
শিমুলে পলাশে এসো ঢেকে দিই
মধ্যযুগীয় বিভেদের ক্ষত।
(৩)
চাঁদের গায়ে চাঁদ লাগলে
চাঁদকে তুমি দোষ দেবে ?
তাহলে কেন ভালোবাসলে
ব্যঙ্গ করে বলবে ‘গে’ !
সে ও আমি দুজনই পুরুষ
তাই কি তোমার আপত্তি ?
ভালোবাসা তো মুক্ত আকাশ
নয় সে কারো সম্পত্তি ।
চাঁদকে তুমি দোষ দেবে ?
তাহলে কেন ভালোবাসলে
ব্যঙ্গ করে বলবে ‘গে’ !
সে ও আমি দুজনই পুরুষ
তাই কি তোমার আপত্তি ?
ভালোবাসা তো মুক্ত আকাশ
নয় সে কারো সম্পত্তি ।
(৪)
প্রতিটি মানুষ
ইচ্ছে-রঙে রাঙাক মনের ঘর
সমপ্রেমিতা ব্যাক্তিগত আপন পরিসর,
সমকামী কি বিসমকামী সে পরিচয় পরে
বন্ধু তুমি মানুষ আগে এসো আমার ঘরে।
সমপ্রেমিতা ব্যাক্তিগত আপন পরিসর,
সমকামী কি বিসমকামী সে পরিচয় পরে
বন্ধু তুমি মানুষ আগে এসো আমার ঘরে।
মৌ মধুবন্তী

- তুমি কোথায়?
- জলে ভাসছি।
- জল কোন ঠিকানা নয়।
- সমুদ্রের জলে ভাসছি, জলের ঠিকানা থাকে না। জলকে কেউ চিঠি লেখে না। তুমি কোথায়?
- আমি ডাঙ্গায়। ডানায় হিলিয়াম গ্যাস ভরেছি। উড়ে যাব নতুন ঠিকানায়।
- ঠিকানা পেলে আমাকে জানিও।
- কি হবে জানিয়ে? তুমি জলে ভেসে ভেসে যাবে হয়তো কোন নতুন সমুদ্রে। আমি সমুদ্র ও আকাশ ও না। মাঝের স্তরে আমি ভাসমান। বায়বীয় নই।
- এতো অভিমান করো না। নেমে আসো জলে। হিলিয়াম ছেড়ে দাও। মিশে যাক বাতাসে। আমি আর তুমি মিলে জল ও সমুদ্র ।
- সে আর হতে পারলাম কই? না সমুদ্র না জল। কিছুই নেই আমার। বৃক্ষ ছিলাম কোন কালে । পাতা ঝরে গেছে। মাটিও শেকড় গর্হণ করেনি। উদ্ভিদের ভাষা আমার জানা নেই তাই সমূলে উৎপাটিত হলাম।
- জলে ডুবলেও গভীরে যাওয়া যায়। উপড়ে ফেলার ছেয়ে ভালো। উদ্বাস্তু হবে না। নেমে আসো জলে।
- কলেও জল আছে পান করি।
- পারবে বটে, হাতের তালুতে করে, সমুদ্র সেচ দিতে যেওনা। হবে না। যেমন ভালোবাসা ছাড়া ভালোবাসা জমাট বাধেনা। আমাদের দিন যদি একসাথে সুর্য ডুবায়, সমুদ্র ও জল দেবে দেহ ভরে।
- তুমি আমাকে ভালোবাসো?
- সন্দেহ কেন? সুর্য ওঠে পুব দিকে। এই নিয়ে বিতর্ক আছে নাকি?
- না নেই। বিতর্ক নেই। তুমি সুর্য হলে রোজ পুব দিকে তাকিয়ে থাকতাম। তুমি জলে ভাসো
- সে না হয় হলো, জলের ভেতরে সুর্যের আলো যায়, জল গড়ায়, মানুষ পরিবর্তনশীল। ঘুমের ঘোরে
- ভুল নাম ধরে ডাকে
- সেই ভুলের অপরাধ কি মার্জনা করা যায় না?
- মুছে দিয়েছি দুঃখ জলের। জলের স্পর্শ দিয়ে।
- এবার আমাকে স্পর্শ করো।
- জলে নামো।
- ডাঙ্গায় আসো।
- জলে নামো।
- ডাঙ্গায় আসো।
জল উঠে আসে ডাঙ্গায়, ঘরবাড়ি বসতি সব ভেসে গেল জলের তলে।
-তুমি একা এলে আর সবাই স্বস্তি পেতো।
- তোমার ভালোবাসা সবার সাথে ভাগ করে নিলাম।
সেই থেকে জলেই বাস শুরু। ঠিকানা পাওয়া যাবে না। চিঠিও পাঠানো হবে না। খামটাই সমুদ্রে ফেলে দিলাম।
- জলে ভাসছি।
- জল কোন ঠিকানা নয়।
- সমুদ্রের জলে ভাসছি, জলের ঠিকানা থাকে না। জলকে কেউ চিঠি লেখে না। তুমি কোথায়?
- আমি ডাঙ্গায়। ডানায় হিলিয়াম গ্যাস ভরেছি। উড়ে যাব নতুন ঠিকানায়।
- ঠিকানা পেলে আমাকে জানিও।
- কি হবে জানিয়ে? তুমি জলে ভেসে ভেসে যাবে হয়তো কোন নতুন সমুদ্রে। আমি সমুদ্র ও আকাশ ও না। মাঝের স্তরে আমি ভাসমান। বায়বীয় নই।
- এতো অভিমান করো না। নেমে আসো জলে। হিলিয়াম ছেড়ে দাও। মিশে যাক বাতাসে। আমি আর তুমি মিলে জল ও সমুদ্র ।
- সে আর হতে পারলাম কই? না সমুদ্র না জল। কিছুই নেই আমার। বৃক্ষ ছিলাম কোন কালে । পাতা ঝরে গেছে। মাটিও শেকড় গর্হণ করেনি। উদ্ভিদের ভাষা আমার জানা নেই তাই সমূলে উৎপাটিত হলাম।
- জলে ডুবলেও গভীরে যাওয়া যায়। উপড়ে ফেলার ছেয়ে ভালো। উদ্বাস্তু হবে না। নেমে আসো জলে।
- কলেও জল আছে পান করি।
- পারবে বটে, হাতের তালুতে করে, সমুদ্র সেচ দিতে যেওনা। হবে না। যেমন ভালোবাসা ছাড়া ভালোবাসা জমাট বাধেনা। আমাদের দিন যদি একসাথে সুর্য ডুবায়, সমুদ্র ও জল দেবে দেহ ভরে।
- তুমি আমাকে ভালোবাসো?
- সন্দেহ কেন? সুর্য ওঠে পুব দিকে। এই নিয়ে বিতর্ক আছে নাকি?
- না নেই। বিতর্ক নেই। তুমি সুর্য হলে রোজ পুব দিকে তাকিয়ে থাকতাম। তুমি জলে ভাসো
- সে না হয় হলো, জলের ভেতরে সুর্যের আলো যায়, জল গড়ায়, মানুষ পরিবর্তনশীল। ঘুমের ঘোরে
- ভুল নাম ধরে ডাকে
- সেই ভুলের অপরাধ কি মার্জনা করা যায় না?
- মুছে দিয়েছি দুঃখ জলের। জলের স্পর্শ দিয়ে।
- এবার আমাকে স্পর্শ করো।
- জলে নামো।
- ডাঙ্গায় আসো।
- জলে নামো।
- ডাঙ্গায় আসো।
জল উঠে আসে ডাঙ্গায়, ঘরবাড়ি বসতি সব ভেসে গেল জলের তলে।
-তুমি একা এলে আর সবাই স্বস্তি পেতো।
- তোমার ভালোবাসা সবার সাথে ভাগ করে নিলাম।
সেই থেকে জলেই বাস শুরু। ঠিকানা পাওয়া যাবে না। চিঠিও পাঠানো হবে না। খামটাই সমুদ্রে ফেলে দিলাম।
ভালোবাসার আরেক ভাগ
হলো।
স্বপন সেনগুপ্ত

শিখে গেছি উদ্ভিদ সংগীত
সূর্যকে ভাগ করে খাওয়া।
আমার কোনও জুম্মাবার নেই, সব বারই জুম্মাবার।
কুচুটে মেঘ দেখলে মাথা নত করি
আলো ফুটলেই আরশিনগরের গল্প।
এখন ঝুরি নামছে থরথর।
অপলক, থির হয়ে এসেছে চোখ
চামরের লেজ নাড়াতে নাড়াতে আর
বৃষ্টি নামাতে পরি না।
টের পাই, মাটির গভীরে ফুট কাটে
শেকড়ের ছন্দ ও সঙ্গীত।
ঘারে ককুদ নিয়ে খর্রোদে কারা হাঁটছে,
কারা উলোখাগড়া, গন্ধবনিক, কারা চর্যাপদ
থেকে ধার করে এনেছে দাহ্য-ছায়া,
গুহ্য রেণু। দাঁড়াতে দাঁড়াতে এখন শিখে গেছি
উদ্ভিদ স্বভাব, বীজ রেখে যাওয়া।
অনেক বীজ মাটিতে পা-রাখলে অরণ্য--
অনেক বীজ মাথা কুটে কঠিন পাষাণে।
মায়ের তলপেটের দাগমাটির শরীরে
কতো সংকেত চিহ্ন--
একেকটা সোকসংগীত থেকেই জেগে ওঠে উদ্ভিজ রেণু।
সূর্যকে ভাগ করে খাওয়া।
আমার কোনও জুম্মাবার নেই, সব বারই জুম্মাবার।
কুচুটে মেঘ দেখলে মাথা নত করি
আলো ফুটলেই আরশিনগরের গল্প।
এখন ঝুরি নামছে থরথর।
অপলক, থির হয়ে এসেছে চোখ
চামরের লেজ নাড়াতে নাড়াতে আর
বৃষ্টি নামাতে পরি না।
টের পাই, মাটির গভীরে ফুট কাটে
শেকড়ের ছন্দ ও সঙ্গীত।
ঘারে ককুদ নিয়ে খর্রোদে কারা হাঁটছে,
কারা উলোখাগড়া, গন্ধবনিক, কারা চর্যাপদ
থেকে ধার করে এনেছে দাহ্য-ছায়া,
গুহ্য রেণু। দাঁড়াতে দাঁড়াতে এখন শিখে গেছি
উদ্ভিদ স্বভাব, বীজ রেখে যাওয়া।
অনেক বীজ মাটিতে পা-রাখলে অরণ্য--
অনেক বীজ মাথা কুটে কঠিন পাষাণে।
মায়ের তলপেটের দাগমাটির শরীরে
কতো সংকেত চিহ্ন--
একেকটা সোকসংগীত থেকেই জেগে ওঠে উদ্ভিজ রেণু।
রাজন্য রুহানি

একের নামতা নিয়ে বসে আছো ভোরে?
পরীক্ষা না দাও;
হাঁটতে গেলেও লাগে দশকের জুতো,
ঋত পরিচয়!
মৃতের ফলক পড় নজর ঘুরিয়ে
বস্তুর বিভেদে শূন্য ধরতে পেরেছো?
নইলে অশ্রুও লীন হলে
পানের মুহূর্তে ভুলো কেন জলের সংযোগ,
চারটি দিকের অভিজ্ঞান, চক্রঘূর্ণি…
ডাকনামেই ডেকেছো সখা,
জেনেছো আসল নাম, সনদের সাক্ষ্য?
ভূগোলের ফাঁকে ওড়ে নীলমধুমাছি;
এরেমের ডাল বেয়ে টুপটাপ ঝরে
জন্মান্ধ কানাই।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)