রূপান্তরের বর্ণমালা
প্রথম
আলো দেখবো বলে আজ ভোরে উঠেছি জানো!
আলোর
আখরে আর প্রেমের গভীরতায় গড়ে নেবো আমার অ-আ-ক-খ --
আমার
রূপান্তরের বর্ণমালা! ওই যে গানটি ওই? '
'আমার প্রাণের গানের ভাষা
শিখবে
তারা ছিলো আশা!''
আমার
দিনগুলোতো মুক্ত করেই এনেছি সোনার খাঁচা থেকে আর তাই শুধু
ওড়া
ওড়া আর ওড়া...স্বাধীন নীলে আমি খুঁজি –
খুঁজে
যাই আমার প্রাণের গানের ভাষা...
কাল
সারারাত স্বপ্নজুড়ে -- অনেক রোদ!
অনেক
রোদ আর আলোর স্রোতে পালতোলা একরাশ প্রজাপতি !
গায়ে
প্রজাপতি বসলে তোমার সাথে মিলন অবশ্যম্ভাবী জানি—
স্বপ্নে
এতো প্রজাপতি দেখলে
কী
হয় গো? রূপান্তর?
প্রজাপতিরা
আমার বন্ধু। বাগানে বসে আমি মাটি ঝুরঝুর করি, সার মেশাই,
শুকনো
পাতাদের সরাই আর দেখি ওরা আসে, ওড়ে অনেক সময়
একলাটি।
উড়ে
উড়ে বিভোর কেউ বসছে এ ফুলে সে ফুলে, অনেকসময় দুটি ছটফটে জোড়া
উড়ছে
-- এ ওকে যেন প্রদক্ষিণ করছে অথবা উত্তেজনায় এ ওকে দেখাচ্ছে
''দেখ্ দেখ্ কী সুন্দর!''
অথবা আড়াল খুঁজছে আমাদেরই মতো এই শহরের ভীড়ে --
শুধু
একটু চুমু খাবে বলে...
প্রজাপতিরা
কী রেখে যায় গো? এই যে আমি রেখে যাই উড়ানের আবেশ কবিতায়
আর নানান ডানাচোঁওয়া রঙ। প্রজাপতিরা কী রেখে যায়? উড়ান এর
উপলব্ধি ও
বর্ণিল
অনুভবর উজ্জ্বলতা? রেখে যায় রেণু রেণু কবিতা ও একদিন তার আস্ত দুটি ডানা?
জানো
একদিন একটি পাতয় একজোড়া ফেলে যাওয়া প্রজাপতি-ডানা দেখে কী বিহ্বল হয়ে গেছিলাম!
তখন
সবে কবিতা লিখতে শুরু করেছি এই বছর তিন আগে -- মনে হয়েছিল এ যেন আমার
উত্তরসূরী জীবনানন্দ নামের কোন প্রজাপতি স্বয়ং রেখে গেছে
-- এই রঙ ও স্বপ্ন ছড়িয়ে ওড়বার
দুটি
ডানা! কী দারুণ!কী দারুণ!কী দারুণ!
আলোর
ডিম ফুটবে ফুটবে করছে এই ব্রাহ্ম মুহূর্তে, এই রাত
ও সকালের মোহনায় ।কেমন জানি
মনে
হচ্ছে প্রজাপতিরা ফুলে পরাগসংযোগ ও নূতনকে সৃজনএ পরোক্ষ সহায়তা এবং সৌন্দর্যবাহী
অনেক
আপাত
মিনিংলেস ওড়াউড়ির পরও রেখে যায় অনন্ত সম্ভাবনা -- অজস্র ঘুমন্ত ডিম এ
রূপান্তরের
বর্ণমালা!
শুধোলে
-- ''কীসের রূপান্তর? রূপান্তর কেন? রূপান্তর কোথায়?''
ওই
যে বর্ণমালা -- অ-আ-ক-খ'র ডিম? তার থেকে আমরা
শুঁয়োপোকা
-- রক্তধারার ছন্দে আসলেই রূপান্তর ডাকছে –
আলোয়
প্রজাপতি হয়ে পালতুলে ওড়ার সম্ভাবনা!
কেউ
কেউ আমরা টের পাই -- ''আছে! আছে! আছে!''
কিছু
একটা আছে!'' চেতনাতে ফিসফিস ফিসফিস ফিসফিস –
ট্রা--ন--স--ফ--র--মে--শ--ন
মে--টা--ম--র--ফো--ও--সি--স
আবার
দেখ? কেউ কেউ কিছুই টের পেতে চায় না –
আঁধারে
ডুবে শুঁয়োপোকাই হয়ে থাকে –
হুমায়ুন
আজাদ, রাজীব, অভিজিৎ, নিলয়
কে কোপায় –
আহ্!!!
নির্ভয়াকে রেপ করে ..আহ্!!
এই
এরাই -- এরা নিল না ...এরা পেল না এই রূপান্তরের বর্ণমালার উত্তরাধিকার
জলভরা
চোখে তুমি বললে .. 'তাইতো! চলো উড়িয়ে দি দুজনে মিলে –
এই
অআকখ দের ...উড়ুক এরা দিকে দিকে -- ছড়াক অনন্ত সম্ভাবনা –
অজস্র
ঘুমন্ত ডিম -- ছড়াক রূপান্তরের বর্ণমালা!