সারোগেট মাদার
শেষ
ট্রেনটা ছেড়ে যাওয়ার পর প্লাটফর্মের মতো নিঃস্ব
সময়
টুঁটি টিপে ধরেছে আর জাহান্নম থেকে
বেহেস্তের
দিকে তিলে তিলে বেড়ে উঠছে একটা অস্তিত্ব ।
সে
যে আমার কেউ নয় , আমি ফার্টিলাইজ মাধ্যম .
এরপরে
পড়ে রইবে পিশাচমন ও
নাগাসাকির
ধ্বংসাত্মক জীবন
অসুখ
থেকে সুখের দিকে হেঁটে যাচ্ছে বৈদিক মানুষ ।
আর
,আর
অল্প কিছুকাল বাকি -
আমার
জঠরে বেড়ে ওঠা প্রাণ'টাকে ডাক্তার দিদির হাতে দিলেই
মিলে
যাবে পর্যাপ্ত স্বর্গের সিঁড়ি , সিঁড়ির উপরে থাকে
বস্তির
চিরবসন্তকাল ।
শুধুই
কি তোর সঙ্গে আমার কিছু কাগুজে নোটের বিনিময় ?
নাড়ি
থেকে নাড়িতে লেগে থাকা আর
শুষে
নেওয়া রক্ত-জল , প্রাণ তবে তুই আমার কেউ নোস ?
আর
তো কদিন , তোর আসল মা বুকে চেপে নিয়ে চলে যাবে
হয়ত
আমেরিকা ,কিংবা অস্ট্রেলিয়া ।
তবু
,তবু
আমি কেন নেমে যাচ্ছি নদী খাদের দিকে
দ্বন্দ্বে
কেন ভরে উঠছে মায়ের সত্ত্বা ?
কেন
ছুঁড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে করছে সমস্ত বাস্তব সরণী!
কেন
তোকে বুকে চেপে বলতে ইচ্ছে
তুই
বড় বেশি আমার, তুই যে শুধুই আমার
তোর
তুলতুলে গাল ,ছোট্ট হাত পা , সব , সবটুকু
জুড়ে আমার
কতপ্রকার
ঘর ভাড়া দেয় , চাহিদায় উড়ে আসে জন্ম
কোনদিন
কি জানবি তুই
কে
ছিল তোর জন্মদাত্রী মা ?
কে হেসে উঠেছিল
তোর
আগমনের সময় ! আমি ও কি তবে সেই
তোর
কাছে গর্ভ ভাড়া দেওয়া মা ?।
শুধু
বাঁচবার জন্য ,লক্ষ টাকার বিনিময়ে সুখটুকু কিনে থাকি
আমাকে
বাঁচিয়ে রাখার জন্যই
সাইনবোর্ড
ঝোলাই
এসো
পিতা , আমি সারোগেট মাদার