দিগ্বিজয়ী
নিজেকে নিঃশব্দের কাছে
রাখি
তবুও
প্রপাত আসে উন্মাদ শিখরে
তবুও
প্রলাপ বয়ে যায় জনান্তিকে
হিংস্র
সাম্রাজ্য জুড়ে নিঃস্ব জাগরণ
কোথাও
ঘুমের দরোজা নেই
তবু
সারারাত নিঃসঙ্গ যাতায়াত করে
বয়স
কেঁপে যায়, কোন্ অজাগর
?
জ্বেলে
রাখে দুর্ভর সান্ধ্যজীবন
?
চিনি
নাকো তাকে
অথচ
দুর্যোগ আসে
অদ্ভুত
বিশ্বাসের সিঁড়ি দিয়ে
উপলব্ধির
ঈশ্বর নামেন
অশ্রু
মুছে নির্বিবাদে
দিগ্বিজয়ী
বলে নিজেকে ঘোষণা করি
আর
বাগানে ফোটাই যত অলীক কুসুম
বিলাসী সন্ধ্যা
এক
নীলবর্ণ বিলাসী সন্ধ্যা চরতে এসেছে এই ধ্বংস মাঠে
চারিপাশে
মানুষের লাশ
কাটা
মুণ্ডু , ছেঁড়া যোনি , মৃত আর্তনাদ
কান্না
রক্ত আর ভাঙা বিদ্রোহের তাঁবু
পড়ে
আছে
এখানে
নিঃশ্বাস নিতে পারছি না আর
স্বপ্নবর্ণ
আলোরা ভাষাহীন
কী
আশ্বাস পাবে এখানে ?
সন্ধ্যা
তবু জন্মপদ্ধতির ক্রিয়ায় উত্তেজিত হতে থাকে
আর
উত্তেজনাগুলি সভ্যতার তরঙ্গ হয়ে অভিঘাত তোলে
দুঃখের
জ্বর গায়ে কাঁপি
কাঁপতে
কাঁপতে ঘোর বিস্ময়ের দিকে এগিয়ে যাই
নিজেকে
বিমূর্ত মনে হয়
এক
ছায়াময় অন্ধকারে ডুবে যেতে থাকি
আমার
মনুষ্য চেতনার উপর
নেচে
ওঠে যেন এক দুর্জয় ময়ূর....