এই সংখ্যায় ২৬টি কবিতা । লিখেছেন - বিপ্লব গঙ্গোপাdহ্যায়, রাজর্ষি ঘোষ, বিজয় ঘোষ, হরপ্রসাদ রায়, বিদিশা সরকার, পিয়াল রায়, তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্রজিৎ মাজি, পিয়ালী বসু, দময়ন্তী দাসগুপ্ত, জয়দীপ চক্রবর্তী, পিনাকীপ্রসাদ চক্রবর্তী, ঝুমা চৌধুরী, বর্ণালী সেন ভট্টাচার্য, তমাল মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, চয়ন ভৌমিক, অমিত গোস্বামী, অনিমেষ সিংহ, শৈলেন্দ্রপ্রসাদ চৌধুরী, বাবুল আচার্য, দেবাশিস সরকার পার্থ রায়, আবির খান, ও হাসান মেহেদি ।
বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়
পথে প্রান্তরে
দৃশ্য বদলে যায়
রঙ রূপ রেখা এবং আস্তে আস্তে যে দেখছে
সেও
পোশাক পাল্টায় চোখের আদলে কিছু ভিন্নতার দাগ
এই বদলে যাওয়া চারপাশ
পর্ব থেকে পর্বত
পর্বত থেকে পাথর
পাথর থেকে প্রাসাদ ।
মানুষের সভ্যতার শুরু হয়েছিল অরণ্যে গুহায়
তারপর আস্তে আস্তে নদীতীর খুঁজে নেওয়া পায়ে
পায়ে
পথ ও প্রান্তর ধরে হাঁটতে হাঁটতে হাইওয়ে ।
রাজর্ষি ঘোষ
গহীন রাতের একলা চিঠি
খোলা আকাশের মত খাম জুড়ে পড়েছিল তারা।
সাদা কালো – টেক্সট বুক স্টাইলে কপি করা,
কেউ
নেহাতই অগোছালো। - আর একটা বেআবরু চশমা
আতশকাঁচের
মতইনীরব প্রতীক্ষায়। তার নিষ্কলঙ্ক শরীরে
ঝরা
ধুলোর ক্লান্ত বলিরেখা।
একটা পেন যে তারাদের জনক অর্থাৎ ঈশ্বর
সদ্যোজাত ওমকে প্রশ্ন করেছে -
কে বেশী নিঃসঙ্গ আজ রাতে?
লিখল যে, না কি যার জন্য লেখা হল তারার
আলেয়া?
আমাদের একটা ছায়াগাছ আছে।
কোমর সমান উঁচু। ঝাড় হয়ে থাকে বাগানের
মধ্যিখানে।
সময়ে সময়ে ফুল ফোটে তাতে।
গোলঞ্চ, মাধবীলতা – কখনো রজনীগন্ধাও ফুটতে
দেখেছি।
আমি বাগানে যাই না আজকাল।
শিরশিরে একটা হাওয়া এসে লাগে বুকের পাঁজরে
-
আর কে জানে - গেলে হয়ত ওরাও দাবী করে বসবে
কখনো,
বৃদ্ধাবাসে
রেখে এসো ওকে সমাধির মতো।
গ্রীলের জানলা কি মলিন...
একটুখানি হাত পেলে উষ্ণতা রোদ কিংবা
শিরদাঁড়া মাঝ বরাবর
হঠাৎ ভালোবাসা।
শেষবার ভালোবাসা এসেছিল ক্যালিফোর্ণিয়া
থেকে।
অনেক চকোলেট, অনেক আলো
হাত ধরে বলেছিল চলে এসো কাছে,
এসো
একসাথে নীহারিকা হই।
বইয়ের জানলায় সমকামী প্রেম
অর্থাৎ আমাদের চোখে অপরাধী ওরা। বইয়ের
জানালায় রাত্রিবাস
একান্ত নারী একান্ত স্তন লাগোয়া ঠোঁট আধা
আদরে
অবিন্যস্ত।
মেনে নেবে তোমার সংসার?
দুধওয়ালা আসছেনা আজ দুইদিন হল।
কফির কাপে বোগেনভিলিয়া।
আমাদের বুক দুরুদুরু। একমাত্র হতাশা এসে
দাঁড়ায় চোখের সামনে–
ভাতের থালা বড় প্রবীণ।
বড়ই গার্হস্থ্য এই সাদা শাড়ি।
আরশিনগরের ওপারে যাদের দেশ –
যেখানে খুঁদ – কুটো আর উদ্বাস্তু ভিক্ষের
রাত
সে
রাত আমাদের কেউ হয় না।
কেউ
হয় না ভাত রঙা শাড়ির আঁচল।
প্রশ্ন করেছি অনেকবার। নিজেকে নিজেকেই -
হাতের শিরাটা
কাটব কি কাটব না?
বিজয় ঘোষ
ঈষৎ ছাই রঙের কামনা
সাপেরে ভালোবাসি ব্যাঙেরেও ভালোবাসি। লীলাবতীরে
ভালোবাসি
যেমন তেমনই ভালোবাসি আর কারে?যে সব ভালোবাসাবাসি
কেবলই কামনারে ডাকে।ডাকে অথচ পায় না।খুঁজে
মরে সব সুখ
স্তন-জঙ্ঘা-যোনির ভিতরে সেই সব ভালোবাসাবাসি নরকের
প্রজাপতি প্রায়।
আমি সাপেরে ভালোবাসি।ব্যাঙেরেও।নরকে যাতায়াতের
পথে দেখি
কত মনীষি দাঁড়ায়ে আছে।ঝুলে আছে আল্ জিহ্বা।গলগণ্ডের
ভারে
নুয়ে আছে।এরা সব একদিন কত কত সভা উজ্জ্বল করে
বসেছিল।
আলো হাতে।ফুল হাতে। যুবতী কোলে নিয়ে।আমি লীলাবতীরে
ভালোবাসি।ভালোবাসি আর কারে?
কড়িকাঠে ঝুলে আসে দুটি চোখ।যে চোখ কামনা করেছিল
লীলাবতীরে।কড়িকাঠে ঝুলে আছে একটি নাক।যে নাক
ঘ্রাণ
নিয়েছিল যুবতী স্তনের। যা লীলাবতীর স্তনের মতো। সেই ঠোঁটও
ঝুলে আছে কড়িকাঠে।যে ঠোঁট চুমু খেয়েছিল লীলার
শীতে ফাঁটা
শুকনো ঠোঁট। সেই নদীর কাছে যাই যে নদী হারায়েছে
তার
ছিনালিপণা।এই শীতে। মরা গাছে উড়ে উড়ে আসে নরকের
সেই
প্রজাপতিটা।
সাপেরে ভালোবাসি।ব্যাঙেরেও।ভালোবাসাবাসি জড়ায়ে
থাকুক
শীতকাল।বসন্ত আসলে ভালোবাসবো লীলাবতীরে।তখন
সব রঙ
শুকায়ে হয়ে যাবে পার্পেল রঙের।আমি লীলাবতীর
শাদা ঠোঁট-নাক-
স্তন ভালোবাসি। ভালোবাসি ঈষৎ ছাই রঙের কামনা।হরপ্রসাদ রায়
বড়দিনের গল্প
কাল বড়দিন হলে সত্যি কি হবে ?
বস্তিতে বেশী করে রোদ পৌঁছাবে ?
রাত হলে শীত বাড়ে দিনে হলে খিধে
আমাদের বাঁচা নাকি খুব অসুবিধে !
কেউ বলে ‘জঞ্জাল !! বেঁচে থাকা কেন !’
কারও চোখে 'পরগাছা, নিমেষে গজানো' ।
ওরা হল রব, রফ্, ববি, আর বেশু
আমি এই বস্তিরই একলাটি যেশু ।
বড়দিনে যাচ্ছে চার্চে সবাই
ভগবান যীশু নাকি জন্মেছে তাই
স্যান্টা আসবে বলে সব্বাই জানে
বলে দিও আগে যেন আসে এইখানে
আমাদের কারও কাছে জামা জুতো নেই
দেয় যদি যাব তবে তোমার সাথেই।
বিদিশা সরকার
ইমন
তুমি ডাক দিয়ে যাও রোজ
নাও ঘুমের মধ্যে খোঁজ
এত গরজ তবু জাগার আলস্য
রোজ ভোরকে ফিরে পাই
তুমি রাত্রি নিয়ে তাই
আজ আরেক সকাল তোমারই জন্য
তোমায় কোথায় নিয়ে যাব
তুমি প্রান্ত যাকে ভাবো
সেই সীমার থেকেই আমার চলার পথ
আমি ওইখানেতেই থাকি
তুমি আসবে যাবে নাকি
এক সন্ধ্যা নিয়ে আমরা কিছুক্ষণ
করি আলাপ সালাপ বেশ
আর কোথার থেকে মেঘ
সারা আকাশ জুড়ে ঘনিয়ে এলে যেই
সেই মেঘ-ই তোমার দাবি
যেন আমার হাতেই চাবি
ইচ্ছে হলেই আনতে পারি সব--
এক টুক্রো মেঘ ছিঁড়ে
যেই তোমায় রাখি ঘিরে
তারা একশা হয়ে আনল নদী ডেকে
সেই নদীর কোথায় শেষ
এক ছুট্টে যাওয়ার দেশ
তবে নৌকা এল কোন্ সে আলোর থেকে
রাখি নৌকাতে যেই পা
কড়ি মধ্যমেতে যা
আমি পঞ্চমেতে দাঁড়াই কিছুক্ষন
আকাশ ফিরিয়ে নিল আলো
তুমি সন্ধ্যাতারা জ্বালো
এখন সময় ইমন কল্যান ।পিয়াল রায়
জীবনমুখ
একটা ছবিও বিকোয়নি
সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমে এলো
ছবির গায়ে নাকি বিরুদ্ধ অস্থির
ভীষণ গোপন অথচ সত্যির চিহ্ন এলোমেলো
ভয় পেয়েছে ওরা ,
শাসনকে যারা যন্ত্র বানিয়ে রাখে
মানুষের চেয়ে এগিয়ে রাখে ক্ষমতার কাঙ্খাকে
বইকে তাই আটক করেছে শিল্প করেছে জখম
মৃত দেবতার বিগ্রহ নিয়ে উল্লসিত রকম
রাজনীতি আর রাজার নীতির বিভেদ অন্তহীন
গড়িয়ে যাচ্ছে হা হুতাশের জীবনমুখী দিনতিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঁশি বেজে গেলে
তারা কেউ আকাশ নয়।
তারা কেউ মাটি হয়ে,
জুলিয়াস সিজারের মতো,
প্রিয় বন্ধুর হাতে মৃত্যুবরণ করে না।
অথচ রাতের পর,
বিছানার অন্ধকার ঠেলে,
ইন্দ্রজিৎ মাজি
বিস্মৃত কাঠুরিয়া
কতবার রেখেছ হৃদয় শানিত কুঠারে
রেখেছ চোখ আত্মঘাতী আঁধারে?
হে জন্মান্ধ কুঠার -
স্নানে'র উল্লাস করেছে ঋণী তোমায়
কৃতজ্ঞতাও রেখেছে ছায়া কামারশালে...
ধ্যানস্থ বৃক্ষের বাকল খুলে দেখো
পুড়বার আগে ফেনিয়ে উঠছে পোড়াবার প্রার্থনা
বিশ্বাস তবুও জন্মায় মৃত্যুর আগে...
কুঠারের টুঁটি ছেড়ে একবার
হাত ধরো, হাত বাড়ানো ছায়ার
হেঁটে এসো অতীত সরণী
শৈশব সেখানে এখনো যে মালী..পিয়ালী বসু
কিছুটা সাম্প্রতিক : বাকিটা কাল্পনিক
তৃতীয় বিশ্বের যাবতীয় মুর্খামিকে ন্যাকামির
প্রশ্রয় দিয়ে
এটুকু বুঝতে পারি
জগত জোড়া যৌথ পরিভ্রমণ শেষে
..সময়ও নিজস্ব পরিক্রমণ সাঙ্গ করে
গভীর রাতে
ত্রস্ত অভ্যস্ত হাতের ইশারায় আয়নাও নগ্ন হয়
...
তবুও অবহেলাকে উগরে দিতে হয়
শব্দের নিবিড় বিশ্লেষণে
... অচেনার গণ্ডী পেরিয়ে চেনা' হয়ে ওঠো তুমি
মিথের ট্যাগ খুলে স্পষ্টতর হও
... এবার
বেসুরো আজান নয়
...
ভালবাসা আজ হোক অ্যাসিড প্লাবনে
... সময়ের সঙ্গমকারীদময়ন্তী দাশগুপ্ত
বেদনার শব্দগুচ্ছেরা
পেন্সিলে আঁকা ছবি মুছতে মুছতে বেদনার
শব্দগুচ্ছেরা আজ আবার জেগে উঠছে...
চুলের গন্ধ,ঠোঁটের রেখার মতো নিতান্ত অপ্রয়োজনীয় দাগগুলো
কবেই উঠে গেছে তোমার খাতা থেকে।
দু-একটা জলের ফোঁটা...হ্যাঁ,ঘষতে থাক।
শব্দগুচ্ছ তবু মন-আকাশে ডানা মেলবে -
বেদনার শব্দগুচ্ছেরা।
আজো তারা একমুঠো চাঁদ ধরতে চায়
শেষরাতের বিছানা ভেজা অলৌকিক আলোয়।
জয়দীপ চক্রবর্তী
ঘুণ
শব্দের লাবণ্যে লিখে রাখো হেমন্তর যৌবনের দেনা বিষয়ক ভূমিকা
!
উপেক্ষার হারমোনিয়ামে সুর তুলে রুখে দেওয়া বিশ্বাস পরবর্তী
ঘাতকতা।
এমনিই ভরা থাক নাছোড় রোমাঞ্চ, নীরবতার গভীরতর উল্লাসে
গুঁড়ো গুঁড়ো
চাঁদ!
আকাশ ভরা মাটির শপথে তছনছ প্রতারণার পালক, অবিরল মুছে
আলোরই সংবাদ...
ধীর ধীর অনন্ত ধীরের পথিক নিরবচ্ছিন্ন আকুলিবিকুলি
সেইসব পথ।
অর্জনের ছায়াপথে অবিশ্বাসের ছাইরঙ, ক্রমশই ধুসর থেকে
শূন্যতায় বুঁদ হয়ে উঠে বসত...
পিনাকীপ্রসাদ চক্রবর্তী
ভুল
এখন চারাগুলো বিকশিত হয়েছে
মাটিতে নিয়মিত সার ও কীটনাশক
এখন পাতার গায়েও লেখা ভুল,
ভুল সব
ফুল ও ফলগুলোও বোল ধরলে
ভূপতিত হয়ে বলে ভুল,সব ভুল
আমাদের পুরসভার যান নেই কোনো
অন্য গ্রহ কোনো,শুচি রাখি এ গোলার্ধ
ঝুমা চৌধুরী
এ ভাবেই বাঁচি.........
আমার মূহূর্তরা সাক্ষী আছে
দিব্যি আছি আমি
কিছু ভাঙাচোরা স্বপ্ন নিয়ে
সবার বুঝি স্বপ্নপূরন হয়?
আর
তাই বলে কি বাঁচতে নেই?
আমার অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা
রাত্রিগুলো সাক্ষী আছে
দিব্যি আছি আমি
অযত্নে অবহেলায় লুটিয়ে থাকা
ইচ্ছা গুলো নিয়ে
সব ইচ্ছা উড়তে পারে বুঝি?
আর
তাই বলে কি বাঁচতে নেই?
আমার ভোরের বেলার আড়মোড়ারা সাক্ষী আছে
দিব্যি আছি আমি
আমার ফুরিয়ে যাওয়া হারিয়ে যাওয়া
আবেগ গুলো নিয়ে
মূল্যহীনে শুন্য আবেগ বাষ্প
আর
তাই বলে কি বাঁচতে নেই?
আমার অলস দুপুর,কবিতারা সাক্ষী আছে
দিব্যি আছি আমি
হঠাৎ আসা,হঠাৎ উধাও "তোমায়" নিয়ে
আমায় ঝোড়ো হাওয়ায় উড়িয়ে দেবে
আবার ফাঁকি দিয়ে মিলিয়ে যাবে
আর
তাই বলে কি বাঁচতে নেই?
তুমি ভাবো খেলার ছলে আমার সাথে
"ভালোবাসি ভালোবাসি" র
জ্বালবে আগুন
এমন আগুন
আমি যদি জ্বালিয়ে দিই
পুড়ে তুমিই ছায় হবে
আমার কি?
এবার তুমি কেমন করে হারিয়ে যাবে?
আমি তখন শক্ত করি মুঠো
আমার না হয় "পুড়ে যাওয়া প্রেম"
আর
তাই বলে কি বাঁচতে নেই???বর্ণালী সেন ভট্টাচার্য
আশা ও আশঙ্কা
নির্জন মাঠে,
অন্ধকার রাত্রির মত
সে আমায় গ্রাস করে ধীরে,
অতি ধীরে।
ফুলের গন্ধ হয়ে চুপি চুপি ঢুকে পড়ে
ঘ্রাণের ভেতর,
আমার নগ্ন চোখে কাজলের রেখা এঁকে দেয়।
ওড়ায় বিবাগী চুল,
খুলে দেয় বিনুনী-বাঁধন মরশুমি হাওয়া।
আমি তাকে ডাকিনি কখনো
আমি তাকে দেখিনি কোথাও
তবুও সে নিশ্বাস ফেলে আমার বুকের কাছে,
আমার মনের পথে যাওয়া আসা করে অকারণ।
ভাষাহীন কথা দিয়ে
জানি না সে কি যে বলে যায়
একটু স্পর্শের মত----।
আমি বৃষ্টিতে ভিজিনি কখনো
জাগিনি মধ্য যামে আগে কোনো দিন,
তবু আজ ভিজে যাই অনিবার
সে এক গানের বর্ষায়,
তবু রাত জেগে থাকি জানি না কি
আশা না আশঙ্কায়তমাল মুখোপাধ্যায়
বেড়াজাল
মেঘ বালিকার কালো এক ঢাল
এলোচুলে আকাশ ঢাকা ।
মাসাধিক অপেক্ষা শুধু এক ফালি
খুশির মিষ্টি চাঁদটা ।
সবুজ পিপুল পাতার ফাঁকে
ছুঁয়ে যাবে ওলাই চন্ডীর মন্ডপটাকে ।
যেখানে সকাল বেলায় মন্দিরের ঘন্টা
আর বিকাল বেলায় ওঠে
নমাজের ধ্বনি ।
আকাশ পানে চেয়ে থাকি
মন্দিরের ঘন্টা বাজিয়ে
মৃত্যুর পরোয়ানা ।
না আজানের ধ্বনির মধ্যে
বর্বতা, হিংস্রতা উল্লাসের নৃত্য্
।
কোনো আঘাতই ছুঁতে পারে না হৃদয় ।
অভ্যতার মুখ আজ কালো কাপড়ে ঢাকা ।
হে ধরণী তুমি কতবার হবে রক্তাক্ত
তোমাকে আমরা পারিনা ভালোবাসতে
বাধা হয়ে দাঁড়ায় বেড়াজাল
সীমান্তরে এপার ওপার ।
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
একটি সাহসী গল্প
মেয়েটি হট প্যান্ট পরে
ছেলেরা গরম হয়ে যায়
চোখে রাখে আইলাইনার
ঠোঁটে দেয় রঙ
কারো কারো চোখই জখম
গল্প করে পুরুষ সঙ্গী
হাতে হাত ঢুকে যায়
মেয়েটিকে নিয়ে গল্প
অন্য যাত্রীরা খায়
মোবাইলে তুলে সেলফি
দাঁতে সূতো কাটে
মেয়েটি ফিরবে একা রাতে
শব্দের অশ্লীল খেলা
পাশাপাশি কান নেয়
রবকে নীরব করি
মেয়েটি ভ্রূক্ষেপহীন
সারাদিন ভালোবাসা পেয়ে
ফিরে যাচ্ছে ঘরে
সাহস জ্বলছে তার দেহঅন্দরেচয়ন ভৌমিক
চিরসাথী
যদি ঘুমিয়ে পড়ি,
ডেকে দিও, প্রিয়।
এসময় ঘুমের নয় মোটে
সব না বলা কথা
যত গোপন আলোচনা
সেসব বলে নেওয়া যাবে
ধুলোমাখা ছায়াবীথি পথে,
নির্জনে।
সম্মুখে এসেছে বেরোবার পালা,
কতদিন বলোতো গান গাইনি,
বসন্ত-বাতায়নে
ছবি আঁকিনি, আমরা
ঋতুরঙে চুবানো নরম তুলি বুলিয়ে।
সেসব ছেড়ে কাঁহাতক আর চুপথাকা,
কতদিন বসে থাকা স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে।
তাই যদি ঘুমিয়ে পড়ি,
যদি ভুলে যাই ভালোবাসা,
নিজ অধিকারে
-
ডেকে নিও, প্রিয়।।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)