অলকানন্দা একটি নদীর নাম
জলগন্ধা নদীটির নাম
অলকানন্দা।
ধরে নাও তার বুকে এক
চড় বালু, একটিমাত্র বটগাছ আর
কাকচোখা দীঘিটির কোলে একটিই শালুক ফুল।
বাসা বাঁধবে সেইখানে?
ধরে নাও
নক্ষত্রবীথির কোন তারার আলোয় ভেসে গেছে চরাচর
একটি শাম্পান পাল তুলে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যার আগমনে
আর তখনই বেহাগে তানধরেছেবিনম্র
রাতের অচেনা বিসমিল্লা।
প্রণয়যোগ্য
প্রজাপতিটির বাসরসভায় আমন্ত্রিত তুমিও।
ধরে নাও পাতার আগুন।
বহতা দ্রাঘিমাংশইটেনে
এনেছে মেঘ আর বৃষ্টি নেমেছে অঝোরে।
তার অক্ষরেখাও
পরিত্যক্ত।
দুটি আধভেজা শালিখ
আশ্রয় নিলে তোমার উঠোনে
এনে কি দেবে
একান্নবর্তী রোদ?
আরোও ধর– আমি, তুমি,
অলকানন্দা
মুখোমুখি বৃদ্ধাবাসে
কানাকানি করি আর উপচে পরে আমার কবিতারা
না দেখা, না ছাপা
কোন ডায়েরির ছলে। ধর আমি আমিই
তুমি তুমিই
সংসার করছি গোপনে।
আর আমার অশীতিপর নীল হাতের শিরাটা,
তুমি ভালবেসে নাম দিয়েছ তার অলকানন্দা।
শূণ্য পথের পথিক
আমাদের ফুরিয়ে গেলেই
ঈশ্বর –যেখানে নেই জন্ম নেই মৃত্যু
ট্রেন বেঁকে গেছে বাতাসিয়া লুপে
অনন্তের পরেইযেখানেএক ঝাঁক আদিম জিজ্ঞাসা
শূণ্যের পরেইখোঁজ হয় সেই নীরব মহাশূণ্যের।
ফিরিয়ে দাও আর্যভট্ট,
যেখানে শূণ্য যেখানে শ্মশান
চিতার আগুনে দিনরাত চলেছে সিঁড়িভাঙা। অনন্ত
শয্যার পরে ক্লান্ত বিষ্ণু
যেখানে আড়ভাঙা আঙুলের ইশারায়
বলেছেন বন্ধ্যা নদীটিকে, চল।
আর চলা শুরু হল তার
নিজস্ব ধারাপাতে।
এখানেইতো আদি।
এখানেই অতীত ও ভবিষ্যৎ ছবি আঁকে নগ্নতার ও কিছুটা হেমন্তের।
একলা আকাশ চুঁয়ে
উথলে ওঠে তারাদের আলো
আর মণিহারা বিষণ্ণতারা কেবলবোবাকথাবলে নিতান্ত
অক্লেশে।
আমার জানলার বাইরে
বৃদ্ধ ল্যাম্পপোস্ট। আজকাল হাতছানি দেয় অকারণ, ডাকে–
সভ্যতার জারজ সন্তান। আগুন দে তুই কলকেতার
মুখে।