
৭ম বর্ষ ২৯তম সংখ্যা ২৮ মে ২০১৮

মাসুদার রহমান
বন্ধুত্ব
ধানগাছের গল্প বলছি উঠোনের কামিনিগাছকে
এ পাড়া। পরে আরও
পাড়া। বাজার। বটতলা। ছোট গাঙ
পেরিয়ে ধূ ধূ মাঠ
কামিনিগাছ সব কথা
শোনে
বলে, সে একদিন
ধানগাছকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব পাঠাবে
কামিনিগাছে খয়েরি
রঙের ভাতশালিকগুলো
খয়েরিখাম উড়ে যাচ্ছে
ধানমাঠের দিকে
জয়ব্রত বিশ্বাস
বৈরাগ্য
এমন রাতও আসে
মুহূর্ত গুণে গুণে কাটে সময়
পৃথিবীটা আছড়ে পড়ে মাথার ওপর
থ্যাঁৎলানো অনুভবে ডায়াগ্রাম টানতে
যাই
পরের দিনটায় কেমন সূর্য উঠবে
তীব্র ঝড়ে বৃষ্টিতে
চিলেকোঠার অনুবাত দেয়াল ঘেঁষে
হনুমান হনুমতী কাটায় আঁধার
সূর্য উঠলে আবার এবাড়ি সেবাড়ির ছাদে
ছাদে
কাটিয়ে যাওয়া মানুষিক পীড়ন
সূর্য উঠলে আবার ভেঙে দেওয়া উপদ্রুত
বিরতি
অজস্র টাল খেয়ে এগোনো রাত্রির অজ্ঞতায়
লুণ্ঠিত আলো সব পৌঁছে যায় পিরামিড
চূড়ায়
মুহূর্ত গুণে গুণে কাটে সময়
সব আলো ফিরিয়ে নিলে সূর্য
ঝিঁঝিঁর অবারিত ডাকে খুঁজে পাই নদী
অনলস জলবিহারে সাগরের পথে ভাসান
জলের ঢেউয়ে ঢেউয়ে মুছে যায় যাত্রাপথ
।
অরুণিমা চৌধুরী
বালিয়াড়ি
সব প্রেম ক্ষণস্থায়ী..
তবুও প্রতিদিন মৃত্যুর কথা ভাবি..
একদিন শিয়র থেকে উঠে যায় ছায়া,
ভ্রু মধ্যে তিনটি
জটিল রেখা নিয়ে তুমি
চেয়ার ছেড়ে উঠে যাও
আমি নির্বিকার যেন সমাধি মধ্যে গানের
কথা ভাবি.
পৃথিবী আরও একটু দরিদ্র হয়... ঘুমোলে
আবছা হয়ে আসে মুখ
দ্যাখো সতেরোটা বছর কেটে গেল
এই পথ সামান্য যেটুকু দূরত্ব
সব কেমন ছায়া ছায়া...
শর্মিষ্ঠা ঘোষ
অবনী বাড়ি থাকতে পারছে না
রাতের দিকে কাঁটা
গড়ালেই তেনারা আসেন
দরজা জানালা কেঁপে
ওঠে
দরজা খুলুন দরজা
খুলুন
অমুক আছেন ? তমুক আছেন ?
অবনী বাড়ি ছিল কি
ছিল না শক্তি জানান নি
অমুক তমুক এর মা বাপ
বৌ বাচ্চা থাকেন এবং থাকে
'শিন্ডলারস
লিস্ট' বলেছে শুভ্র
জিউ হয়ে গেছি তবে
আর্য দুনিয়ায় ?
প্রতিহিংসা আর লালসা
ঝরা জিভ রাস্তার থুথু চাটা
দু চারটি পোকামাকড়
আর গিরগিটির বানানো তালিকা
নাকি জুডাসের মত পাপ
ধুয়ে যায় জেসাসের রক্তে ?
ওহে যজ্ঞের ঋষি আগুন
জ্বালার আগে দেখেছ কি
ফুল বেলপাতার সাথে
ইমানটাএ ছিল কিনা ?
জেসাস জানতেন সব , জুডাস জানতো না
জেসাসের সাথে সাথে
সেও অমর হবে মানুষের ঘৃণায়
মৃন্ময় চক্রবর্তী
বাঁচিয়ে
রাখো জরুরি অবিশ্বাস
বাঁচিয়ে
রাখো জরুরি অবিশ্বাস
ঘৃণার আয়ু
পাঁচ বছরের নয়!
তোমার
বুকের নিজস্ব নিঃশ্বাস
ধমনীর তাপে
দেখো প্রবাহিত হয়!
'সুদিন আসবে বাক্সবন্দী হয়ে'--
এমন সহজ
বিশ্বাসে কেন যাও ?
রঙ পালটিয়ে
খুনিরা আসবে যাবে
তুমি
স্বপ্নের হাপরটা তুলে নাও।
ক্রমশ লড়াই
অধিকার দেবে গড়ে,
দালাল
খেলুক গদি দখলের খেলা!
তোমার
উনুনে আগুন বাঁচিয়ে রেখো
স্ফুলিঙ্গ
ঠিক ছড়াবেই ডালপালা।
বিদিশা সরকার
বিপত্নীক
পূর্ব জন্মের সূত্র ধরেই যেন পেয়ে যাওয়া পাপপুন্যের ডুবুরি মন
তোমার গিফ্ট প্যাকের ভিতর আমার পান পরাগ
লেবু তেল , ম্যাজিক রুমাল
আমার বার্বির কালেকশনের মাঝখানে বসিয়ে
ছবি তুললে, আর একটু পরেই আমরা ভিজবো
সোনাইদীঘির পালা শুনবো , ঢুলবো
ভোর ফুরোলে মানচিত্র নিয়ে বসবো
চেনাবে উত্তরপ্রদেশ , দাক্ষিণাত্য ---- তিন ভাগ জল
রুহ্ আফজার বোতলে প্রনয় কিঞ্চিৎ
আমার খোলা চুলে আনুসাঙ্গিক গোলাপি জিনিয়া
বার্বিরা খেলা করছে
অনেকদিন পরে তোমাকে টেবিল সাজাতে দেখলাম
টপ্পার গুনগুন
হঠাৎ কেমন যেন সুখি গৃহকোন !
পিনাকীপ্রসাদ চক্রবর্তী
যা দেখেছি –
(এক)
একনায়কের গুণাবলী হল
তুমি বুঝছো
তুমি আসলে বোবা কালা
আর অন্ধ
আর যদি চেঁচালে,তোমার মরণ কোনো
জাতীয় কেলেঙ্কারী
বলে পরিগণিত হবে না
তুমি উধাও,আসলে একটি স্বাভাবিক ঘটনা
(দুই)
লাঠি ব্যাটন কাঁদানে
গ্যাস এসবে নির্দেশ থাকে
উনি চলে যান শান্তির
নিকেতের কাছে
শিশুদের তলব করে
ডেকে আনা হলে
রবিগীতি অতিশয় মধুর
শোনাবে--
আমি নিকৃষ্টতম
ব্যবসায়ী দেখেছি
রোজ ভোরে হাতে করে
কাকদের রুটি দেয়
(তিন)
রোজ রোজ নতুন
আরক্ষালয়ের দ্বার উন্মোচন হলে
অর্থলগ্নীসংস্থা আর
নব্য অর্থনীতিবিদরা সবিশেষ
খুশী এই বলে
উন্নয়নের সুচারু
পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চলছে
নাসির ওয়াদেন
কোনো এক ভোরের
ডাকে
সূর্য এগিয়ে এলেই ভোরগুলো আসে
বিলাসী হাওয়া প্রাতঃ ভ্রমীর কমায়
কিছুটা শর্করা, কিছু মেদ শরীরে...
এ শরীর জানে ভাঙনের ইতিহাস
প্রতিদিন রাতের কাছে আত্মসমর্পণ
সুযোগসন্ধানী খাঁকি চাঁদ আড়ালে •••
আলতো করে ফ্রক খোলে কিশোরী
পরখ করে ডোরাকাটা স্বপ্নকে
নাগর এসে তছনছ করে গেছে
পদ্মপাতার টলমলে জল---
কোনো এক ভোরের ডাকে চিঠি
ঘুম ভাঙায় পাখি, যুবতীর খোলামন
পালিয়ে যাবে ডাক-বাক্সের সাথে
দুনিয়া দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে ভোর •••
সূর্য এগিয়ে এলেই ভোরগুলো আসে
বিলাসী হাওয়া প্রাতঃ ভ্রমীর কমায়
কিছুটা শর্করা, কিছু মেদ শরীরে...
এ শরীর জানে ভাঙনের ইতিহাস
প্রতিদিন রাতের কাছে আত্মসমর্পণ
সুযোগসন্ধানী খাঁকি চাঁদ আড়ালে •••
আলতো করে ফ্রক খোলে কিশোরী
পরখ করে ডোরাকাটা স্বপ্নকে
নাগর এসে তছনছ করে গেছে
পদ্মপাতার টলমলে জল---
কোনো এক ভোরের ডাকে চিঠি
ঘুম ভাঙায় পাখি, যুবতীর খোলামন
পালিয়ে যাবে ডাক-বাক্সের সাথে
দুনিয়া দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে ভোর •••
সুবীর সরকার
শিলাইদহ
ক
এত যে পরিখা
ছিল!পরিধী নির্দিষ্ট জেনেই
গীদালেরা গান
ধরে।পালকে ভরা বাসা।
আদুরে বেড়ালেরা
দ্রুত ছুটে আসে।তখন
বাঁশি ও বাদ্যে
ঋতুবদল!শিলাইদহ দাঁড়িয়ে
থাকে আর কুঠিবাড়ির
দিকে পদ্মার হু হু
বাতাস
খ
খুঁজে পাচ্ছি না ঠোঁট।
হাড় ভাঙবার
শব্দ।পালা
ও
পার্বণ
অনিমেষ সিংহ
রাষ্ট্রদ্রোহী
জুতো
কয়েকটি জুতো রেখেছি
জমিয়ে।
স্কুলের জুতো।
রাজনীতির জুতো।
সাহিত্যের জুতো।
তোমাদের নীলরঙ নিয়ে
যাব একদিন।
আমার নীলরং কোনো
জুতো নেই।
কতো কিছু নেই আমার-
পোষা কাঠবেড়ালী,
রয়াল অ্যানফিল্ড আর
চোখে নষ্টনীড়।
ভালোবাসার মতো
সন্ধ্যা নামে বর্গীডাঙায়,
নামতার মতো তারা উঠে
ছড়িয়ে পড়ে
তোমাদের
নেবুগাছে।ঝিঁঝি ডাকে।
তোমার ডাক আলাদা করে
জমিয়ে রেখেছি,
সাঁকোটাও আলাদা
করেছি।
পাড়াশুদ্ধ মানুষের
ভিতর নির্বাচন আজ।
ঝান্ডায় ঝান্ডায় ছয়লাপ চাঁদ।
এতো কাপড় আসে কোথা
থেকে?
কাপড়গুলো শূন্যতা
ঢাকে।
শূন্যে যাওয়ার কোনো
জুতো নেই।
প্রচন্ড উত্তাপ এই
মাটিতে!
কোন্ রাষ্ট্রে
তোমাকে ভালোবাসি?
তুষ্টি ভট্টাচার্য্য
ছুটন্ত ট্রেন
ছুটন্ত ট্রেনের খোলা দরজায় দাঁড়িয়ে
মুখ বাড়িয়ে আছে দুপুর
হুহু করে উড়ছে তার খোলা চুল
মুখ বাড়িয়ে আছে দুপুর
হুহু করে উড়ছে তার খোলা চুল
একটা ট্রেনের ছুটে
যাওয়া দেখছে সবুজ সিগনাল
স্থির স্টেশনে পায়চারী করছে হাওয়া
লাগেজ ঠেলে হেঁটে চলেছে ওয়েটিং রুম
স্থির স্টেশনে পায়চারী করছে হাওয়া
লাগেজ ঠেলে হেঁটে চলেছে ওয়েটিং রুম
টানটান উত্তেজিত রেললাইন
থেকে
সমান্তরাল ঘোষণা ভেসে আসছে
সমান্তরাল ঘোষণা ভেসে আসছে
পিয়াল রায়
মধ্যরাতের কবিতা
প্রিয় ফুল থেকে ঝরে
গেল চৈতালি হাওয়া
বদলে যাওয়ার সময়
শুরু এখন থেকে
মিষ্টি শ্লোক বেয়ে
দ্যাখো
কেমন গড়িয়ে গড়িয়ে
নামছে
প্রেম ও ইচ্ছামৃত্যু
তুলে রাখো
এতদিন চেপে রাখা
ব্যান্ডেজক্ষত থেকে মুখ তুলে
দিনশেষে
খেলা জমে উঠেছে বেশ
তিন ও পাঁচ নং কবিতার
বুক থেকে বুকে
কৃত্রিম জল ও আগুনের হাওয়াগাড়ি
ম্যাপ খুলে দেখে
নিচ্ছে রূপোসী আদর
সোনালি বেগম
ফার্ন
কোনো এপিটাফ নয়। জল
মাটি হাওয়ায় মিশে
যাওয়া প্রাকৃতিক
ভার। মেরুপ্রান্তরে পেঙ্গুইন
সিন্ধুঘোটক সাঁতার
দিতে থাকে। দুরন্ত চিতার
পলায়ন। হাতির গম গম
শব্দ ভেসে আসে।
ভূমিক্ষয় রোধে
গাছপালার বিশেষ রোপণ
জরুরি হয়ে পড়ে।
বংশ-পরম্পরা রক্ষায়
ফার্টিলাইজেশনসমৃদ্ধ
প্রকৃতি-সমাজ। পাখির
কলরব শেষে
হাস্নুহানার সুগন্ধিত রাতে
পূর্ণিমার চাঁদ
ম্লান হাসে। জোয়ার-ভাটার জলে
ভিজে যায়
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। কবর ঘিরে তখন
সবুজ ফার্ন জাগে।
অপেক্ষমাণ নৌকায়
‘কূল নাই কূল নাই...’ লোকসংগীতের
সুর ভাসতে থাকে ––––
জারা সোমা
গ্লোবাল
ওয়ার্মিং
মধ্যবয়সী মেদ ঢেকে
ফেলে সত্ত্বা
যেন একটু পরেই গ্রহণ
লাগবে
রাহু গিলে খাবে যৌবন
পরকীয়া শব্দটা
শুনলেই শিহরণ
অপূর্ণ ইচ্ছেরা ধেয়ে
আসে
ঘোর লাগা চোখে
ফ্যাশনদুরস্ত ভয়
আমি অভিমন্যু হতে
চাই
ভিতরের সূর্যটার
অস্ত যাবার আগে
আঁচ পোহাই গলন্ত
দুপুরে
তারপর না হয় হোক
গ্লোবাল ওয়ার্মিং
..........
প্রীতি মিত্র
ভাঙা সাঁকো
নির্জন দুরত্ব থেকে
তোমার চলে যাওয়া দেখছি।
নির্জন দুরত্ব থেকে
তোমার চলে যাওয়া দেখছি।
মখমলি দেরাজে রাখা
কয়েক বান্ডিল চিঠি, ছেঁড়া কাগজ হয়ে
লাট খাচ্ছে এখন কালবৈশাখীর বুকে---
কয়েক বান্ডিল চিঠি, ছেঁড়া কাগজ হয়ে
লাট খাচ্ছে এখন কালবৈশাখীর বুকে---
শুধু,একটা নাম চেয়েছিলাম তোমার কাছে
সন্ধ্যাদীপের মতো, বিশ্বাসী নির্ভার---আলোভরা নাম...
সন্ধ্যাদীপের মতো, বিশ্বাসী নির্ভার---আলোভরা নাম...
তুমি দিতে পারনি।
অথচ কি অদ্ভুত দেখো---
তোমার উড়ান পর্বে
আমার আঙিনায় পাঠ করেছিলে যে আকাশলিপি, তারই ক্ষত--
এখন যুবতী রোদের মতো খেলা করে
আমার সমস্ত দেহ জুড়ে!
তোমার উড়ান পর্বে
আমার আঙিনায় পাঠ করেছিলে যে আকাশলিপি, তারই ক্ষত--
এখন যুবতী রোদের মতো খেলা করে
আমার সমস্ত দেহ জুড়ে!
অনভ্যস্ত বিষাদ পেরিয়ে,
আজও, গণ্ডুস ভরে পান করি
তোমার ফেলে যাওয়া শব্দ স্পর্শ মায়া।
আজও, গণ্ডুস ভরে পান করি
তোমার ফেলে যাওয়া শব্দ স্পর্শ মায়া।
হেরে যেতে চাইনা,আজও তাই
আকাশ চিনি পাখির বিশ্বাসে।
আকাশ চিনি পাখির বিশ্বাসে।
শুভশ্রী সাহা
বর্নমালায়---
আজকাল মাঝরাতে অবসাদ
এসে বসে
তত বেশি ঢেকে নিই
পায়ের পাতা বুক গোপন ব্যথা
অচল স্মৃতিরা মমি
হয়ে দাঁড়িয়ে যায় পরপর
গোপনীয় যা কিছু বিষাদ,প্রত্যাশায়
এখনো বুকের ভেতর
অবারিত শস্যক্ষেত্র
অনাঙ্ক্ষিত পরাজয়
বার বার টোকা দেয় দরজায়
মেনে নিয়েছি যাবতীয়
মিথ্যার বর্নমালাকে
অবসাদকেই ভালোবাসা
বলে সাজিয়ে নিই খেলায়
অমিতাভ দাস
একটি
বিকেল
সিঙাড়া ভাজা হচ্ছে । আহা প্রাণ ভরে টেনে নিই স্বাদ। কতকাল
পর ,গাছে গাছে আম ঝুলে আছে
।কুকুর , শুয়ে ছিল । বিকেলবেলার আলো,কুকুরের গায়ে কলকে ফুল ঝরে যায় অবিরত । দেখি , হাওয়া আসে ক্রমাগত ফিসফিস ইঙ্গিতলিপি । এক সময় প্রিয় গন্ধগুলি ভুলে যাই
। সম্মান খুব ঠুকনো । জাদু যেন । এই আছে এই নেই । বিশ্বাস তখন গোয়েন্দা হয়ে যায় ।
ফেলুদা কিংবা ব্যোমকেশ । আমি ভিতরে ভিতরে হাসি । খুব হাসি পায় ,যখন আমরা অদৃশ্য একদিন হেঁটেছিলাম । অথবা বলা ভালো হাঁটতে চেয়েছিলাম
দেবগ্রামের পথে । ধূলিলিপ্ত । মসীলিপ্ত কামনার কন্টকদল । অধিকারের কী ইন্দ্রজাল,বিপুল খিদে ! কতকাল পর আমার খুব তেলেভাজা খেতে ইচ্ছে করেছিল । কুকুর
শুয়ে ছিল । পথের ওপর লাল একটা কুকুর । বলেছিলাম আমরা একদিন স্নানে যাবো । ফুল ঝরে
আছে পথে । বিশ্বাস ঝরে আছে পথে । অবিশ্বাস নিয়ে স্নানে যেতে নেই । মন্দিরে যেতে
নেই । যেওনা কখনো...
বিনু মাহবুবা
পাথরে কষ্টের দাগ
পাখির গানের মতো,কান্নার মতো বেরিয়ে আসে অথবা প্রণয়ের মতো
!
লোকালয়ের অনেক দূরে অরণ্যের
মাঝে ঝর্ণার ধারে
শ্যাওলায় ঘেরা পাথরেরা
সব,
ওদের ছাড়িয়ে ঘন সবুজ
বনের শুরু
আর সেই জংলা গন্ধ ।
পৃথিবীর তাবৎ নির্জনতা
এসে এখানে বাসা বেধেছিলো বুঝি;
আর এই নির্জনতা মনের
আবরণ খুলে দিয়েছিলো একটু একটু করে
এগিয়ে যাওয়া ঝর্ণার ধারে
শ্যাওলা পাড়ের কুলুকুলু
জলে
প্রাচীন শ্যাওলার রঙ
খুলতে শুরু করে ধীরে ধীরে, আরো গভীরে ডুবে যাই
আচমকা একেবারে নির্জন
ঝর্নার তলে আবিষ্কার করলাম হতবাক;
কখন কেমন করে তলিয়ে গলিয়ে
পাদদেশে এলাম__
কিন্তু বেঁচে আছি !
অদেখা চোখের ঝি ঝি পোকারা
ডেকে যাচ্ছে
পেছনে তাকাতেই ভীষণ ব্যাথা
অনুভব করলাম হাতের গোড়ায়
যা বলতে গিয়ে এসব মনে
এলো _
সেই ছাতলা পড়া পাথরে
কষ্টের দাগ এখনো চেয়ে থাকে
উঁকি দেয়া যুগল পথে
রিমঝিম বৃষ্টি ছিলোনা
তখন
মন কেমন করা,ঝিলমিল রোদ
খেয়ালিপনার অজস্র কথার
মালা
পিঠে; কাপরের ঝোলা,
কিছু বাস্তবের কিছু অবাস্তবের
তাবৎ এলেবেলে গল্পের
যেনো কী এক মোহ পেয়েছিলো সেদিন !
আমার কিন্তু নিজেকে ঠিক
রক্তকরবীর নন্দিনী আর
তোমাকে বিশুপাগল মনে হয়েছিলো !
মোশতাক আল মেহেদী
মনে হয়
কাছে আছে কথা
তবু মনে হয় দূরে
অন্তঃপুরে গোপন
শিরোপা!
হতে পারে সবকিছু
পুরনো ধারণা
নতুন মানেই -
ভাসাভাসা
শিকড়ের যাত্রা নয়, পাতার প্রিয়তা!
এ ডাল ও ডাল করে
শূণ্য করে দেবার
ক্ষমতা,
অথবা কিছুই নয়
সবকিছু ভাসমান কথা!
সুতপা সরকার
মোহগ্রস্ত
ঘাসের মখমলি সবুজে প্রাচীন কূর্ম অবতার
দাঁড় বাইছি জোয়ারে চক্রাকার
নীলের পরিধিতে অমোঘ স্পর্শতায়
ওতপ্রোত ঘোলাটে চোখ অদ্যাপি
রাত জ্যোৎস্নায় উদ্দাম চকোর,
সাঁতরাচ্ছি জলের ঘূর্ণি তে তুমুল,
বুকের ভাঁজেঋতুজ মরশুমি আকর্ষী,
সূর্মায় তুমি মায়ামৃগ লাবণ্যস্পর্শী,
উপসংহারেও পৃথিবী কস্তুরী গন্ধজ,
গহীন খাদের উপক্ণঠে দাঁড়িয়ে আমি
পূর্বাধিক মোহজ,
তোমার নাভিতে লেগে রইলো
আমার জম্নান্তরদাগ,
চাতকের অতৃপ্তি তে নির্বাণ নেই,
দুঠোঁটের তৃষ্ণায় জলসত্রে আগামীতে
তুমিই আমার কাঙখিত প্রয়াগ----
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)