অনেকটা ঈশ্বরের মতো
ভেতরে ভেতরে বন্যা ছড়িয়ে পড়ছে।
বন্যা ঘোমটায় ঢাকা।
বন্যা, তার
নিরুপায় তরল গঠন,
নির্ভেজাল কলঙ্কিত ভয়াল সৌন্দর্যে মত্ত।
তুমি তাকে বাঁধতে পারছো না আর।
বাঁধ দিয়েছিলে যতো, উন্মত্ততায়
সব বাঁধনকুচি ভেসে যাচ্ছে
এ ওর গায়ে মাখামাখি হতে হতে।
তোমার কটা সিঁড়ি ডুবলো? জানো না, তুমি বানভাসি ঈশ্বর!
ডুবে যাচ্ছে পদক্ষেপ;
বন্যা এসেছে জানাতে, তুমি আমার
সম্মানের মতো।
তুমি আমার কেউ হও না বুঝতে বুঝতে পেরিয়ে এসেছি প্রিয় দরদালান;
সেই যেখানে নিষ্পাপ স্বপ্নদেরও ঠোঁট থাকে,
আর সেখানে তুমি আমার গান হয়ে বেঁচে থাকো।
ক্রমাগত সুরের ওঠাপড়ায়
বুঝি বিরক্ত হয়ে তুমি আমার আর্তনাদ হয়ে গেলে!
এই শ্বাস-প্রশ্বাসের
জন্মস্থানে বসে আছো বিস্ময়ে।
তুমি নিয়ন্ত্রণ করবে কাকে?
এসো আমার হাতের কাঠপুতলি, সুতোয়
আঙ্গুলে জড়ামড়ি,
তোমাকে আমার কথা বানাই...
আমার হাভাতেপনার সাক্ষী হবে এসো।
তোমার হাজার-কোটি-... আরো অনেক
লোকদেখানো ক্রিয়াকে
পবিত্র শ্মশানে প্রবেশাধিকার দিয়েছি।
একদৃষ্টির অদৃষ্টে
তোমার সন্ধানে ক্লান্ত ঘুমে বুঝেছি,
তুমি আমার আয়নায় ফাটল হয়ে বসেছো।