তৃষ্ণা ও চিঠি
বৃষ্টির লিরিকে লিখছি
তোমাকে
কে তুমি হরিজন নাভিমূলে
রেখে গেছ তৃষ্ণার কোলাহল।
এই জ্বর-জ্বর রাত টলছে...
পিদিমের সলতে উড়ে গেলে
আঁধারের চারুবৃত্ত।
শ্রাবণে প্লাবনে কেতকী,
কেয়া বনে দুলে উঠা আমলকী ছাদ।
বহুদূরে ঘুমিয়ে তিথী;
বহুদূরে প্রিয়তমের অপ্রিয় আখ্যান...
তোমাকে লিখছি চিঠি পাতার
অক্ষর, ভ্যানগঘ নীলে
গম ক্ষেতের পাশে হুদহুদ
ডেকে ওঠে আহত যাপনকালে...
কোথাও রয়েছে ব্যথা হাজার
বছরের,
বেলাভূমির আলাপনে উষ্ণ
হয়ে উঠা বদ্বীপ চরাচর-
কোথাও ছায়া নড়ে, বেদনার
আলপিন;
পাহাড়ের খাড়াইয়ে জংলী
লতার ডেরা,
টুপ করে ঝরা বকফুল।
লিখছি ইচ্ছার দূত সূর্যমুখী
খামে-
স্নান শেষে ভেজা চুলে
ময়ূরগন্ধী কোরিওগ্রাফী।
তোমাকে লিখছি চিঠি আমাজন
পোড়া ছাইয়ে...
নামের গভীরে জ্যোতি
একটি নাম লিখতে লিখতে
লিখে ফেলি মায়া
গুঞ্জনে গুঞ্জনে পোয়াতি
হয় পয়মন্ত সময়
আয়ু বাড়ায় জ্যোতি ও সংগ্রাম
প্রজাপতি হারিয়ে গেছে
শুককীট বনে
বনের গভীরে প্রলম্বিত
মনের বাহু ও আলোছায়া
এ আমি নদী পাড় ভেঙে চলছি
প্লাবনের খর পূর্ণতায়
এ আমি জটাজালে আবৃত সামাজিক
আয়ু
এ আমি রজকীনি প্রতিক্ষীত
হাজার বছর
একটি নাম লিখতে লিখতে
লিখে ফেলি গান
একটি নাম খুঁজতে খুঁজতে
পেয়ে যাই নির্বাণ...
পুরনো সিন্দুকে জমানো
বইয়ের ন্যাপথালিন মাখতে মাখতে
একটি পারিজাত গল্প হয়ে
যাই,
ছন্দের বারান্দায় অলঙ্কার,অনুপ্রাস
ও বিন্যাস;
নামের কিনারে লেখা থাকে
ইতিহাস!