একুশের ২১এ বসে
আলোর পরেই ব্রহ্ম তেজে দ্রুততর
প্রত্যেকেই হীরকখণ্ড তীব্র দীপ্র দ্যূতি
ছড়িয়ে ছিটোয় যত মাতৃভাষা খর
অতি সারে কৃষ্ণসার বৈখরীর শ্রুতি ।।
মেধা ভাসে কৃষ্টি ভাসে একুশ ভেসে যায়
মৃগনাভীগন্ধবহ ঘোরসওয়ারেরা
থেকে থেকে বর্জ ওঠে ওষ্ঠে জিহ্বায়
ভাষাপ্রেম ছেঁচে তোলে মহীনের ঘোড়া ।।
ক্ষতের ওপর ক্ষত ক্লান্ত ক্ষরণ
দেহযষ্ঠী অষ্টাবক্র পোষাভাষ্যভারে
মাথা কুটে মরে কিছু কালি ও কলম
ঘরপোড়া হাত রাখে মায়ের কুটিরে ।।
তার চেয়ে ফুল আর ফলের আঘ্রাণ
যাবতীয় উদ্ভিদের জন্মলগন
নবজাতকের ওঁয়া পাখির আখ্যান
ধানের অক্ষর বেশি মাতৃপ্রবণ ।।
মনুর অশিষ্ট ছেলে মাথা পেতে বসো
শাস্তির আগে বলো শেষ ইচ্ছে কী?
ঈশ্বরের পুত্র সেই ভুবন বলবে, রোসো –
শব্দভাস্করদের ডাকো কানটা কামড়ে দিই …
জন্মগত অধিকারে কে দিচ্ছ ছাই?
গান শোনো কৌশিকীর জ্যোছনার আড়ি
হ্যাঁ না এর অনুপাত তোমাকে শেখাই
বৈঠকখানায় রাখো ঠাকুরদার ঘড়ি …
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন