নার্সিংহোম থেকে
"বঞ্চনা এবং নিপীড়নের
কথা, থাক।"
কাকে শোনাবে, আধিপত্যের
কথা!
আজ নার্সিংহোম থেকে ফেরার
পথে দেখলাম,
তিনফসলি জমিনের ওপর দাঁড়িয়ে
আছে উন্নয়নশীল, ভারতবর্ষ।
হাতে চকচক করছে রাষ্ট্রীয়
খঞ্জর।
সুস্বাদু কেক-এর মতো
ভাগ করে নিচ্ছে, প্লট।
কেক কাটার আনন্দে, উপস্থিত
সকল প্রতিনিধি হাততালি দিয়ে উঠলেন।
পাখিরা গেল, উড়ে।
ফসল ফলানোর গান নেই,
রাষ্ট্রে।
প্রধানমন্ত্রী চাইছেন,
আমাদের অস্ত্রের গুদাম ভরে থাক নাল-নীল মারণাস্ত্রে,
কলের সংখ্যা বাড়ুক চক্রবৃদ্ধিহারে।
মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন,
চারিদিকে যেন চকচকে মসৃণতা থাকে, মার্বেলের মতো,
আগ্নেয় শিলার মতো।
কয়েকজন মানুষ এসব চাইছেন
না।মাত্র কয়েকজনের বুকে, গভীর ক্ষত।
বাকিরা ভাগ হয়ে গেছেন,
--কেউ প্রধানমন্ত্রীর
লোক
---কেউ মুখ্যমন্ত্রীর;
শিক্ষাও ভাগ হয়েছে,
অশিক্ষাও ;
আমি নার্সিংহোম থেকে
ফিরছিলাম,
রাস্তা ছিলো, কালো;
গাছগুলো, নীরব। চিত্রকল্পনার
হাঁড়িতে ছিলো,
"জমিটার বুকে টইটম্বুর
জল,
জল কাটতেই কোমর বেঁধে
নেমে পড়া, কৃষকের ব্যাস্ততা ;
কৃষাণীর, এটা সাত মাস
বলে, মুড়িলংকা নিয়ে এসেছে সীমা, সবার ছোট বোন।"
চিত্রকল্প ভেঙে বেরিয়ে
এলো, লাখটাকার মুনাফা।
টাকার ওপর গান্ধীজী;
আমি, আসলে নার্সিংহোম,
যাইনি। আমি আসলে একটি নার্সিংহোমে থাকি।
আমি আসলে, নার্সিংহোমের
দিকেই যাচ্ছিলাম।
তিনফসলি জমির বুকে, যা
দেখেছি
তা আসলে, আমার অসুখের,
লক্ষণসমূহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন