ভাস্বান প্রতীতি
কৃষ্ণচূড়ার বনে লেগেছিল লাল রঙের
আগুন,
সে দিনটি ছিল রৌদ্রজ্জ্বল
বসন্তের আটই ফাল্গুন।
ফাগুনের আগুনে দপ করে বারুদের মত
জ্বলে উঠেছিল একঝাক তেজস্বান
তরুন;
বজ্রকন্ঠে তারা তুলেছিল আওয়াজ
“বাংলা আমার মায়ের ভাষা, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।“
চিরতরে থামাতে তাদের, গর্জে
উঠেছিল ভীত হায়েনাদের অস্ত্র।
নিমিষেই দূর্বাদলে লুটিয়ে পড়েছিল
গুলিতে কাতর কচি কচি প্রাণ।
শকুনের দল সেদিন রুদ্ধ করেছিল বাঙালির দীপ্ত কণ্ঠ;
কিন্তু মননে বপন করে দিয়েছিল
স্বাধীনতার সুপ্ত বীজ।
অঙ্কুরোদ্গমে বিকশিত হয়ে সেই
বীজই হয়েছে মহীরুহ;
ঝলমলে সবুজ জমিনে লালরঙা তমোহর।
কালের যাত্রায় ক্রমশঃ এভাবেই
রচিত হয়েছে,
নিজের মাতৃভাষায় কথা বলার
ভাস্বান ইতিহাস।
আজো তাই একুশে ফেব্রুয়ারি এলে-
শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরি বিনম্র
চিত্তে, অনিঃশেষ শ্রদ্ধায়!
অনিকেত প্রান্তরে মিশে যায়
উৎসমূলের নিভৃত প্রতীতি।
ভৌগলিক সীমানা পেড়িয়ে একুশে ফেব্রুয়ারির অনির্বাণ চেতনা
আজ প্রতি বাঙ্গালীর একান্ত গৌরবগাথা।
কোটি হৃদয়ে একুশে ফেব্রুয়ারির বহ্নিশিখা চির সমুজ্জ্বল।
ভাল লাগলো রেখার কবিতাখানি,যেন মুহূর্তে চলে গেলাম নিজের চৌকাঠ পেড়িয়ে ৫২র আন্দোলনের দিনগুলোতে! এখানেই লেখার সার্থকতা।ধন্যবাদ জানাই।
উত্তর দিনমুছুনরেখাকে ধন্যবাদ জানাই অসাধারণ এই কবিতাটির জন্যে
উত্তর দিনমুছুন