নিজের পাতা
টুপ করে খসে পড়ছে চাঁদের জলে জারুলের বন
বোকার মত ডেকে যাচ্ছে
বসন্তের দূত
চন্দনের বনে
মনে মনে বলি
‘অবেলায় লোভ দেখিও না
হে ডাকহরকরা’,
কোন সে ধ্রুবরাত অশেষ
করেছে আমাকে।
মেঘের ছায়া ভাঙছে প্রতিদিন পাহাড়িয়া শরীরে
অলকানন্দা কালিতে লেখা
চিঠি প্রিয়বন্ধুর
করমচা লেবুপাতার দ্বিধাগ্রস্ত
লাবণ্য
'অবেলায় লোভ দেখিও না
হে ডাকহরকরা'
আয়ুষ্কালের কামোদ নির্জনতার
নিভৃতে।
ইরানথিমামের কলমে
চাঁদের আলোর সুতো খুলে
খুলে
আমাদের গল্পেরা হেঁটে
যায় নদীর দিকে।
ঘাসবনে শুয়ে থাকে মাটির
শরীর
অপাপবিদ্ধ কস্তুরী শব্দেরা,
খয়ের বনের পিঙ্গল স্মৃতিপথে
চিরঘুম ঝরে পড়ে
কণা কণা কুয়াশার গুড়োয়
নেমে আসে জোনাকির
অলীক অজ্ঞাতবাস
স্তব্ধ ইমনের সুরে আঁকা
হয় এক লিরিক রাত্রি।
আমাদের গল্পেরা হেঁটে
যায় নৈহার পথে
মনখারাপেরা নেমে আসে
ছমছমে মাছের বাগানে
ক্রমে ভেসে যায় নক্ষত্রের
নীল স্বাদ
ছায়ার আঙুল থেকে ঋতুহীন
খসে পড়ে ঝর্না কলম
ঠিক সেই মীড়ে তোমাকে
হারিয়ে ফেলে নিশিলাগা রামধনু,
এ সময় অসুখ করলে শুধুমাত্র পুরোনো
চিঠি পড়ে সে অসুখ সারে
তখনো গল্পেরা হেঁটে যায়
হেঁটে যায়
হেঁটে যায়
একা একা
স্তব্ধ ইমনের বিপরীতে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন