অধিকার
নিখিলেশ, কতদিন আসিসনা
বাড়িতে
আ্যস্ট্রেটা পড়ে আছে
ঘরের কোণে,
ধোঁয়াহীন অমর্যাদায়।
তোর মনে আছে খুব বকা
খেয়েছিলি
মেসোমশাইয়ের কাছে।
তুই আমার চাকরির আবেদনপত্র
স্টেটসম্যানের
অফিসের বাইরে বক্সে ফেলার
আগে
ছিঁড়ে ফেলেছিলি।
তোর বাবা ছিল পিছনে।
আমি শান্ত করতে পারিনি
মেসোমশাইকে। তুই হাসছিলি।
নিখিলেশ, তুই শেষ ফোন
করেছিলি যখন
আমি হাসপাতালে। মেসোমশাইয়ের
অচেতন
শরীরের পাশে হতাশ চোখে।
বাড়িতে রিং হয়ে গেল।
রাত দুটোয় দেখলাম
কল ডিসপ্লেতে ঝিকঝিক
করছে নম্বর।
মেসোমশাই এখন অন্ধকূপে
একা ধিকিধিকি
প্রদীপের আলো
রোজ একবার করে থানা থেকে
সার্চ করে যায়
হুলিয়া লেগে আছে বাইরের
দেয়ালে
আর আমি অভিমানের খেসারত
দিচ্ছি
দত্তক পুত্র হয়ে।
তুই ফিরে আয় নিখিলেশ।
তোর অধিকার
আমি বহন করতে চাইনা.…..
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন